Advertisement
Advertisement

Breaking News

আদালতের নির্দেশে বিএনপির শীর্ষপদে থাকতে পারছেন না খালেদা ও তারেক

বিএনপিকে চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন।

Khaleda Zia no more BNP Chairperson

ফাইল ফটো

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 7, 2018 4:53 pm
  • Updated:November 7, 2018 4:53 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপির শীর্ষপদে থাকতে পারছেন না চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে আদালতের নির্দেশে শীর্ষপদ হারাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করণীয় কিছু নেই জানিয়ে বিএনপিকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সেখানে আদালতের নির্দেশের বাইরে তাদের যাওয়ার সুযোগ নেই, এ বিষয়টি উল্লেখ করে আজ কিংবা আগামীকালের মধ্যে বিএনপিকে চিঠি দিতে চলেছে ইসি। ইতিমধ্যে কমিশন নথিতে অনুমোদন দিয়েছে। ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, হাই কোর্ট যেভাবে রায় দিয়েছে তা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করা হবে না। এই বিষয়টি দ্রুত রিট পিটিশনকারী, বিএনপির এবং হাই কোর্টকে অবগত করা হবে। ফলে দলটির পূর্বের গঠনতন্ত্রই বহাল থাকবে।

সম্প্রতি বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। গত ৩১ অক্টোবর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহম্মদ আলির হাই কোর্ট বেঞ্চ বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আদেশ দেন। কাউন্সিলে আনা ওই সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে হাই কোর্ট। আর ওই আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই রিটের আদেশে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারা বাতিল করে সংশোধিত যে গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি, সেটি গ্রহণ করতে নিষেধ করেছে উচ্চ আদালত। ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী আদালতে দণ্ডিত কারও দলের সদস্যপদ থাকার যোগ্যতা থাকবে না। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মমতাজউদ্দিন মেহেদি। সরকারিপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। এ রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ ও বিএনপি স্ববিরোধী অবস্থান নেয়।

Advertisement

[নির্বাচনের আগে ৪ মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ হাসিনার]

Advertisement

এ রায়কে আওয়ামি লিগ স্বাগত জানালেও বিএনপির দাবি, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে নড়েচড়ে বসে ইসি। কমিশনের আইন শাখা দীর্ঘ পর্যালোচনা করে আদালতের নির্দেশ নিয়ে। কিন্তু নির্দেশের বিষয়ে আদালত বিএনপি পক্ষ হয়ে নিষ্পত্তি না করলে কমিশনের করার কিছু নেই বলে তারা একমত হয়। ফলে ৭ নম্বর ধারাটি বাতিল না হলে এরই মধ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না বলে ইসি মনে করছে। কারণ দলটির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, দণ্ডিতরা পদে থাকতে পারবেন না। এর আগে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনীতে বাদ দেওয়া বিধান কেন বেআইনি ও সংবিধানের ৬৬ (ঘ)-এর পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবকে এক মাসের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কারণ খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দুজনই একাধিক মামলায় দণ্ডিত। দুজনই দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছেন। এছাড়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামি লিগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত।

[বাংলাদেশে নিকেশ জেএমবি-র শীর্ষ নেতা, খতম পাচারকারীও  ]

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলদের ভোটে কয়েকটি ধারা বাতিল হয়। কাউন্সিলে উত্থাপিত হওয়ার আগে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি ৭ ধারাটি বাতিল করার প্রস্তাব করে। এ প্রস্তাব স্থায়ী কমিটিতে অনুমোদন পায়। পরে কাউন্সিলে সেটি পাস হয়। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দেয় বিএনপি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ