Advertisement
Advertisement

Breaking News

৫৪ দুষ্কৃতীর আত্মসমর্পণ, সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত’ ঘোষণা হাসিনার

ভয়ংকর ও সুন্দরের সমন্বয় এই জঙ্গল।

No more pirates in Sunderbans: Bangladesh PM Hasina
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 1, 2018 3:27 pm
  • Updated:November 1, 2018 3:27 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ত্রাস হয়ে ওঠা ছ’টি দস্যুদল। তারপর হাসিনা জানান, এবার থেকে আর জলদস্যুদের আতঙ্ক থাকবে না সুন্দরবনে।

[নভেম্বরে প্রথম ধাপে ৫ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মায়ানমার]

Advertisement

বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। এর বিস্তার ছড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশে। ভয়ংকর ও সুন্দরের সমন্বয় জঙ্গলটি।এখানে হেতাল ও গরান গাছের মাঝে গা এলিয়ে থাকতে দেখা মেলে বনরাজের। কাঠের গুড়ির মতো জলে ভেসে থাকে কুমির। মধু সংগ্রহ করতে জঙ্গলে দক্ষিণরায় ও বনবিবির নামে পুজো দিয়ে জঙ্গলে যায় মৌলিরা। তবে এখানে ভয় শুধু বন্যদের থেকে নয়, বিপদ আসতে পারে ওঁত পেতে থাকা জলদস্যুদের থেকেও। টুরিস্টদের নৌকা বা মাল নিয়ে যাওয়া জলযানে হামলা চালিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয় তারা। বাধা দিলে মৃত্যু অনিবার্য। ক্ষমতায় এসেই দুষ্কৃতীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন হাসিনা। সেই মতোই অভিযানে নামে এলিট ফোর্স র‌্যাব। পাকড়াও করা হয় একের পর এক জলদস্যুকে।

Advertisement

প্রবল চাপের মুখে পড়ে অবশেষে আত্মসমর্পণ করে ছ’টি দস্যুদলের ৫৪ জন সদস্য। এর মর্মে বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের শেখ হেলালউদ্দিন স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তিনি বলেন, “অনেকেই অন্ধকারের পথ ছেড়ে এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। তারা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে। তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি সরকার দেখছে। যে দস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। র‌্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনও তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে সহায়তা করবে।”

এদিন দস্যুরা ৪০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বিপুল পরিমাণের গোলাবারুদ জমা দেয়। উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের নৌকায় লুঠতরাজ চালিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নিত তারা। অপহরণ করে মুক্তিপণও দাবি করত দস্যুরা। তবে অনেকেই মনে করছেন এখনও জালের বাইরে রয়েছে অনেক দস্যু। নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে বাঁচতে অনেকেই ভারতের অংশে গা ঢাকা দেয়। ফলে ফের এলাকা দখল করে তারা হামলা চালাতেই পারে।

[খালেদা মামলায় উত্তপ্ত বাংলাদেশ, সুপ্রিম কোর্টে হাতাহাতি আইনজীবীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ