Advertisement
Advertisement

করোনা রুখতে তৎপর বাংলাদেশ, হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রিন্স চার্লস    

সদ্য করোনার করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসেছেন প্রিন্স চার্লস।

Prince Charles praises Bangladesh PM Hasina's fight against corona
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 8, 2020 11:55 am
  • Updated:April 8, 2020 11:55 am

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় তৎপর বাংলাদেশ। এই মহামারি রুখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন প্রিন্স চার্লস। কয়েকদিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওয়েলসের যুবরাজ। বাকিংহাম প্যালেসেও COVID-19 থাবা বসানোর খবরে মাথায় বাজ পড়েছিল ব্রিটেনবাসীর। তবে দ্রুত করোনামুক্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। সেই সময় চার্লসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে চিঠি দিয়েছিলেন হসিনা।  

[আরও পড়ুন: ঢাকায় করোনা আক্রান্ত ইমাম, অজান্তেই অনেকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল]       

গত সোমবার হাসিনার কাছে এক চিঠিতে প্রিন্স চার্লস লেখেন, “আপনার অত্যন্ত সদয় উদ্বেগের পত্রটি এবং এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে আমার আরোগ্য কামনায় আপনার শুভেচ্ছা আমাকে দারুণভাবে স্পর্শ করেছে।”  প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, চিঠিতে প্রিন্স চার্লস প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি এখন অনেক ভাল আছেন। পত্রযোগে প্রিন্স চার্লস আর বলেন, “আমি এখন অনেক ভাল আছি এবং আমি জানি আপনি কতটা ব্যস্ত। এ ব্যস্ততার মধ্যেও চিঠি লেখার জন্য আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।” চিঠিতে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন প্রিন্স চার্লস। তিনি বলেন, “আমি এটা শুনে সবচেয়ে বেশি অভিভূত হয়েছি যে, আপনি এই মারাত্মক রোগের প্রাদুর্ভাব প্রাথমিক পর্যায়ে কীভাবে সংক্রমণ আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।”

Advertisement

এই সংকটের সময়ে যুক্তরাজ্যে বৃটিশ-এশীয় প্রবাসীরা একে অপরকে সাহায্য করতে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করছেন চিঠিতে সেই কথা উল্লেখ করেছেন প্রিন্স চার্লস। তিনি বলেন, “বৃটিশ-এশীয়দের মধ্যে অনেকেই কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাতে (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) কাজ করছেন। তারা একে অপরকে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়কে বিশেষ করে ধর্মীয়ভাবে বিশ্বাসী মন্দির, মসজিদ এবং গুরুদ্বারে সমন্বিতভাবে চেষ্টা করছেন।” প্রিন্স চার্লস জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, “আমি প্রার্থনা করি যে এই সংকট চলে গেলে আমরা জৈব অর্থনীতির বলয় তৈরির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো জরুরি কাজে আমাদের অঙ্গীকার নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যাব, যা প্রকৃতি ও কমিউনিটিগুলিকে এর কেন্দ্রে নিয়ে আসবে এবং পৃথিবীকে একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২৩ বছর কলকাতাতেই লুকিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ