Advertisement
Advertisement
Bangladesh

দূষণ রোধে বাংলাদেশকে সাহায্য বিশ্ব ব্যাংকের, দেওয়া হল ২৫০ মিলিয়ন ডলার

কী কী কাজ হবে, সেই রূপরেখাও ঠিক করে দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

World Bank provides grant of $250 million to Bangladesh for pollution control | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 2, 2022 2:59 pm
  • Updated:December 2, 2022 3:05 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: পরিবেশ দূষণে বড় ভূমিকা রয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। একাধিকবার বিশ্বের দূষণ সূচকে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে আমাদের পড়শি দেশ। মাঝেমধ্যে দূষণে কিছুটা রাশ টানা গেলেও খুব একটা লাভ হয় না। ফের বিষাক্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের জল-হাওয়া। এবার দূষণ রোধে বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক (World Bank)। ২৫০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। পিপিপি মডেলে দূষণ প্রতিরোধে (Curb Air Pollution) বাংলাদেশে কাজ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ – এই নামে একটি প্রকল্প চলছে বাংলাদেশে। সেখানকার প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের নির্দিষ্ট তহবিল রয়েছে। তার মূল লক্ষ্য, দূষণের মাত্রা কমিয়ে সবুজায়নের (Green evolution) পথে এগিয়ে যাওয়া। ৩০ বছরের এই প্রকল্পে আরও পাঁচ বছর অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ বছর পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের তরফে এই আর্থিক সহায়তা মিলবে। শুক্রবারই ইমেল মারফত অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুরা দাঙ্গা করে না’, শাহর ‘উচিত শিক্ষা’ মন্তব্যে সমর্থন হিমন্তর]

বিশ্ব ব্যাংকের সমীক্ষা বলছে, এই প্রকল্প যথাযথভাবে করতে পারলে রাজধানী শহর ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকার প্রায় ২১ মিলিয়ন মানুষ দূষণের কোপ থেকে মুক্তি পাবেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব ব্যাংকের আধিকারিক দানদান চেনের বক্তব্য, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এত দ্রুত বিবর্তন এবং নগরায়ন আদতে পরিবেশের বড় ক্ষতি করেছে। এটা শুধু জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে, তাইই নয়। অর্থনৈতিক বিকাশেও বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বিশ্ব ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পাশে থেকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে চলেছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সভা নিয়ে কাটল জট, শনিবার অভিষেকের গড়েই কর্মসূচি শুভেন্দুর]

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেওয়া এই ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কী কী কাজ হবে, তার রূপরেখাও প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে। চেন জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রনিক বর্জ্য সাফ, গাড়ি থেকে দূষণ পরীক্ষার জন্য আলাদা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র তৈরি হবে। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশের দূষণ চিত্রে নজর রেখেছে বিশ্ব ব্যাংক। ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। বিশ্ব ব্যাংক সেই কাজে হাত বাড়িয়ে দিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ