সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: হাসপাতালের বদলে সাপে কামড়ানো শিশুকে নিয়ে যাওয়া হল ওঝার কাছে। কুসংস্কারের বলি স্কুলছাত্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে তীব্র চাঞ্চল্য।
বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা-বাবার সঙ্গেই ঘুমোতে গিয়েছিল গঙ্গাসাগরের উত্তর হারাধনপুর গুড়িয়া পাড়ার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সুজয় বেরা। ভোররাতে বিছানায় তাকে সাপে কামড়ায় বলে পরিবার সূত্রে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরিবারের লোকজন এরপর সুজয়কে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ শিশুটিকে ফেলে রেখে চলে ঝাড়ফুঁক। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। বেগতিক বুঝে হাল ছাড়েন ওই ওঝা।
[আরও পড়ুন: বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, মালগাড়িতে ধাক্কা দিয়ে লাইনচ্যুত বেশ কয়েকটি বগি]
এরপরই শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। ওঝা প্রবীণ চিন্ময় দাস নিজেই স্বীকার করেছেন এলাকার সকলেই জানেন যে তিনি সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা করেন। সেইমতো ওই শিশুটিকে তার বাড়ির লোকজন তাঁর কাছে নিয়ে আসেন। আধঘন্টা ধরে ঝাড়ফুঁকের পর তিনি বুঝতে পারেন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।
এদিন শিশুটির মৃত্যু আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সাপে কামড়ালে ওঝা, ঝাড়ফুঁক, কবজ বা তাবিজ নয়, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে তবেই প্রাণ বাঁচবে রোগীর। এদিকে প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন ও বিজ্ঞানমঞ্চের পক্ষ থেকে কুসংস্কার বিরোধী এত সচেতনতামূলক প্রচার সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটছে।