নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: নিরাপত্তা বলয় ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেমতাবাদের সভামঞ্চে তরুণীর উঠে পড়া কাণ্ডে শুরু হল ডিজি পর্যায়ের তদন্ত। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ডিআইজি উজি পল এবং রাজ্য পুলিশের এডিজি সঞ্জীব চন্দ হেমতাবাদ থানায় আসেন। সেখানে ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। থানাতেই জেলা পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা সারেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবরও নেন।
তার আগে গতকাল বিকেলেই তদন্ত করতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের নেতৃত্বে হেমতাবাদের মাঠের সভাস্থল ঘুরে দেখে তদন্তকারীদের একটি দল। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলের নজরদারির দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পাশাপাশি এদিনই শিলিগুড়ির আইবি ইন্সপেক্টর অভিজিৎ দাসের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার শ্যাম সিং কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “বিভিন্ন দিক থেকে নানাভাবে তদন্ত করে দেখা হবে। তারপর বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, করণদিঘির রসাখোয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাগলকাটি গ্রামের যে দুই বোন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাবার খুনের বিচারের দাবিতে হাজির হয়েছিলেন, তাঁরা দু’জনই রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই বোন রাবেয়া ও আমুরা খাতুন অবশ্য ঘটনার জন্য অনুতপ্ত নন। এদিন তাঁরা বলেন, “বাবার খুনিদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।” জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে রসাখোয়ার বাড়িতে বাবা মহম্মদ হাসিমুদ্দিনকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর খুনে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে। আদালতে তার বিচার চলছে। তার উপর বাবার মৃত্যুর পর জেলাশাসকের তৎপরতায় ওই পরিবারকে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এক বোনকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও কেন ওই দুই তরুণী মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উঠে পড়লেন তা নিয়ে ধন্দ বাড়ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে হেমতাবাদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করার সময় আচমকাই মঞ্চে উঠে পড়েন এক তরুণী। তাঁরই বোনকে অবশ্য মঞ্চের আগেই আটকে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করে কীভাবে দু’-দু’জন তরুণী ডি জোনে ঢুকে পড়লেন তা নিয়ে জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.