সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং শিশুপুত্রের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় বাহাত্তর ঘণ্টা। তবে এখনও মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার কিনারা হয়নি। তা সত্ত্বেও জারি রয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এরই মাঝে হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার বিচারও চাইলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: গৃহবধূর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে খুন, অভিযুক্তদের ধরে বেদম মার প্রতিবেশীদের]
শুক্রবার একটি টুইট করেন অপর্ণা সেন। ওই টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, “আমাদের পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস কর্মী, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে কারণ যা-ই থাক না কেন এটা আমাদের জন্য লজ্জার। ম্যাডাম CM! দোষীরা যাতে শাস্তি পায়, তা দয়া করে সুনিশ্চিত করুন। রাজনীতির রং না দেখে তদন্তের ব্যবস্থা করুন আপনি। গোটা রাজ্যের নাগরিকের দায়িত্ব আপনার। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী।”
Pregnant wife & child of RSS man slaughtered in our own WB! Whatever the reason for such a gruesome act, shame on us! Madam CM! Pls ensure the perpetrators are brought to justice! Irrespective of political inclinations, all citizens of WB are ur responsibility. U are CM to all!
— Aparna Sen (@senaparna) October 11, 2019
এর আগে যদিও বৃহস্পতিবারই ঘটনার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। দশমীর দিন সপরিবারে খুন হন ওই শিক্ষক। তা সত্ত্বেও পুলিশ কেন ঘটনার কিনারা করতে পারছে না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছিলেন রাজ্যপাল। ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া উচিত বলেই দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: ‘একদিকে মানুষ খুন হচ্ছে আর অন্যদিকে মস্তি হচ্ছে’, কার্নিভ্যালকে কটাক্ষ দিলীপের]
যদিও তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে বলে পালটা দাবি পুলিশের। সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকের বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও মিলেছে একটি চিরকূট। ওই শিক্ষকের স্ত্রী বিউটির হাতের লেখা বলেই অনুমান পুলিশের। তদন্তকারীদের দাবি, শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিলেন। যার ফলে ধীরে ধীরে দাম্পত্য সম্পর্ক উষ্ণতা হারাচ্ছিল। তাই খুনের নেপথ্যে তৃতীয় ব্যক্তি দায়ী কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। আবার কারও কারও দাবি, ওই শিক্ষক বিশাল অঙ্কের টাকা ধার নিয়েছিলেন। তাই খুনের পিছনে আর্থিক বিবাদও কারণ হতে পারে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। সমস্ত সম্ভাবনাই ভাল করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুব শীঘ্রই ঘটনার কিনারা হবে বলেই আশাবাদী আধিকারিকরা।