BREAKING NEWS

১৬ চৈত্র  ১৪২৯  শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘আমি এখনও গায়ক,পুরোপুরি নেতা হতে পারিনি’, স্বীকারোক্তি বাবুল সুপ্রিয়র

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: April 5, 2019 8:54 pm|    Updated: April 5, 2019 8:54 pm

Babul Supriyo did election campaign by singing his popular songs at Asansol

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: সাংসদ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ পাঁচটা বছর৷ কিন্তু আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে পা পড়েনি৷ এবার প্রার্থী হয়ে প্রথমবার এই সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাগৃহে ঢুকলেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। আর মঞ্চে গানে গানেই জমিয়ে দিলেন অনুষ্ঠান। গানে,কথায়,শায়েরিতে একদফা ভোটের প্রচারও সেরে নিলেন তারকা প্রার্থী। মাইক হাতে পেয়ে গেয়ে উঠলেন ‘কহো না প্যার হ্যায়’ সিনেমার গান৷ কথায় একটু রদবদল করে সুরে সুরে বললেন, ‘ম্যায় হু বাবুল, তুম হো সাহারা।’ 

                                    [ আরও পড়ুন: নোটবন্দির কারণে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ, বিজেপিকে কটাক্ষ নুসরতের]

কয়েকদিন আগে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কুলটিতে এক কীর্তনের আসরে ঢুকে মিশে গিয়েছিলেন সেখানে। এবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে মাড়োয়ারি যুব মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঢুকলেন বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সন্ধে থেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও গায়ক প্রার্থীর দেখা না পেয়ে অনেকেই কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন৷ ভাবছিলেন, রবীন্দ্রভবন আসানসোল পুরনিগমের তৈরি৷ তাই হয়তো সেখানে যেতে দ্বিধা করছেন বাবুল৷ কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে রাত এগারোটা নাগাদ প্রেক্ষাগৃহে হাজির হন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী। মঞ্চে উঠে ধরেন একের পর এক জনপ্রিয় গান।  ফলে রাতের দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বদলে যায় রাজনৈতিক মঞ্চে। মাড়োয়ারি সমাজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ততক্ষণে মিলেমিশে গেছে রাধাকৃষ্ণের নৃত্যানুষ্ঠান, ঘুমর ডান্স, ডান্ডিয়া ও কলস নৃত্য। মাঝে মাঝে চলছে রাজস্থানি লোকগান।

                                 [ আরও পড়ুন: মিলন হবে কত দিনে…’, মুনমুনের প্রচারে বাঁকুড়ার বাউল আসানসোলের পথে-প্রান্তরে]

বাবুল সুপ্রিয় মঞ্চে উঠে হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার কানে কানে আপনাদেরই কেউ বললেন, এক-দু’টো গান শুনিয়ে দিন, মাড়োয়ারি সমাজের ভোট পেয়ে যাবেন।’ তারপরই তিনি জানান, ভোট পাওয়ার জন্য নয়, বিনোদনের স্বার্থেই গান গাইবেন তিনি৷ এরপর বেছে বেছে সেই গানই করেন যার ভিতরে বিরোধীদের প্রতি কটাক্ষের ইঙ্গিত রয়েছে৷ সাদা চোস্ত-পাঞ্জাবি, পায়জামা,  মাথায় পাগড়ি, পায়ে বাহারি জুতোয় বাবুলের লুকই একেবারে আলাদা।বিজেপির তারকা প্রার্থী এদিন বলেন, ‘এখনও আমি পুরোদস্তুর একজন গায়ক। পুরোপুরি পলিটিশিয়ান হতে পারিনি।’ এদিনের অনুষ্ঠানে বেশি রাজনৈতিক বক্তব্য শোনা যায়নি বাবুল সুপ্রিয়র গলায়৷ তুলনায় বেশি ছিল গান, সুর৷ অনুষ্ঠান শেষে তিনি গান ধরেন, ‘দিল নে দিল কো পুকারা/ লো ম্যায় আয়া মিলনে দোবারা’৷ অর্থাৎ গানে গানেই স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গেলেন, আসানসোলের সাংসদ হয়ে তিনি  আবারও ফিরছেন৷

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে