ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শখ ছিল দার্জিলিংয়ের স্কুলে ছেলেকে পড়াবেন৷ সেইমতো ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ব্যাংকক থেকে এসেছিলেন তাই-দম্পতি৷ তাঁদের সঙ্গে আসে আরও দু’টি পরিবার৷ তাঁরাও সন্তানদের পাহাড়ের স্কুলে পড়ানোর কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু কার্শিয়াংয়ে পৌঁছে হোটেলেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে তিন কিশোর৷ একজন বাথরুমে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়৷ হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয় তার৷ বাকি দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ডাক্তাররা। তবে অন্য কোনও রহস্য এর পিছনে রয়েছে কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ত্বকে সাদা দাগ! সারবে এই ঘরোয়া টোটকাতে
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কোয়েতসিরিক উংঅং (১৫)। কার্শিয়াংয়ে পাঙ্খাবাড়ি রোডের একটি হোটেলে উঠেছিল তাঁরা৷ স্নানের জন্য হোটেলের বাথরুমে ঢোকে কোয়েত৷ অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও না বেরোতে দেখে ডাকাডাকি করেন মা প্ল্যানরানফুফা৷ সাড়া না পেয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে দেখেন, ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে৷ শাওয়ার খোলা। এর পরই ওই কিশোরকে তড়িঘড়ি কার্শিয়াং হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্তু হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয় তার৷ মৃতের বাড়ি ব্যাংককে৷ এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই হোটেলের লবিতে থাকা তার দুই সঙ্গীও অচৈতন্য হয়ে পড়ে৷ তাদেরও দ্রুত কার্শিয়াং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ সেখান থেকে ওই দু’জনকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷ পরে পরিবারের লোকেরা শিলিগুড়ির প্রধাননগরে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায় তাদের৷
কাজ করুন দিক মেনে, তাতেই আসবে সাফল্য
দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস বলেছেন, অজানা কোনও বিষক্রিয়ার জেরেই এ ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে৷ জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গেই এসেছিল ওই ছাত্র৷ কার্শিয়াংয়ের একটি রিসর্টে ছিল৷ আচমকা ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় কার্শিয়াং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে৷
গ্রেপ্তার মধ্যপ্রদেশ ট্রেন হামলার মূলচক্রী প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী জিএম খান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.