দেবব্রত মণ্ডল ও সুরজিৎ দেব: ছোট থেকে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। বয়স বাড়লেও তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। তিন ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল মিলেমিশে সংসারের উন্নতি করা। লক্ষ্য ছিল নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে সকলের মুখে হাসি ফোটানো। তাই একসঙ্গে তাঁরা ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতেন। এবারও অন্ধ্রপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে সব কিছু। প্রাণ হারালেন তিন ভাই একসঙ্গে। একই পরিবারের তিন সদস্য-সহ পাঁচজনের মৃত্যুতে শোকে ভাসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী।
হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন, দিবাকর গায়েন সম্পর্কে একে অপরের ভাই। তাঁরা সকলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা। অন্ধ্রপ্রদেশে ধান রোয়ার কাজে যাচ্ছিলেন। যদিও এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার ভিনরাজ্যে গিয়েছিলেন তিনজন। কিন্তু শুক্রবার ঘটল বিপত্তি। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে তাঁদের। বাড়ির পুরুষ সদস্যদের মৃত্যুতে শোকের ভাসছেন স্ত্রী-রা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সকলেই। দেহ ফেরাতে ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনা: ফোনে অপরিচিত কণ্ঠ, স্বামীর মৃত্যুসংবাদ শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী]
ওই তিন ভাই ছাড়াও বাসন্তীর ছরানেখালি গ্রামের আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন বিকাশ ও সঞ্জয় হালদার। বাসন্তীর পাশাপাশি মগরাহাট ১ নম্বর ব্লকের উস্তির সরিষা মলঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা বছর একুশের আশিক আলি গাজিরও মৃত্যু হয়েছে। তিনি দর্জির কাজ করতেন। কাকদ্বীপেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।