Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফণী

কাটল ফাঁড়া, বিশেষ দাপট ছাড়াই বাংলা ছাড়ল ফণী

শক্তি হারিয়ে এখন বাংলাদেশমুখী ফণী৷

Bengal escapes from massive effect of Fani as it loses its strength
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 4, 2019 9:01 am
  • Updated:May 4, 2019 9:01 am

রিংকি দাস ভট্টাচার্য: বঙ্গে কেটে গেল ফণীর ফাঁড়া৷ প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী শক্তি বেশ খানিকটা শক্তিক্ষয় করে এবার বাংলাদেশমুখী৷ শুক্রবার দুপুরে নির্ধারিত সময়ের আগেই ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ফণী৷ ব্যাপক তাণ্ডবলীলা চালিয়ে দিঘা উপকূল দিয়ে তা বাংলায় প্রবেশ করেছে রাতের দিকে৷ পূর্ব উপকূলের দিঘা, হলদিয়া, মন্দারমণি, তাজপুর, সংকরপুর এলাকায় বেশ কিছুটা দাপট দেখিয়েছে তীব্র সাইক্লোন ফণী৷ ওড়িশায় অন্তত ১০ জনের প্রাণ কেড়েছে ঘূর্ণিঝড়৷ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, খড়গপুরে এর প্রভাবে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ভেঙে গিয়েছে কাঁচা বাড়ি৷ সুন্দরবনের দিকে বিভিন্ন নদীবাঁধে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে৷

[ আরও পড়ুন : স্কুলে ২ মাসের ছুটি কমিয়ে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হোক, আবেদন শিক্ষক সংগঠনের]

রাতভর শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকায় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে৷ সকালের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও, দিনভর এমনই নিম্নচাপের আবহ থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের৷ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছিল, শনিবার দুপুর পর্যন্ত ফণীর প্রভাব থাকবে৷ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার আশঙ্কা ছিল৷ তবে শনিবার সকালের মধ্যেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে গেল৷ শহরের কান ঘেঁষেই প্রায় বেরিয়ে গেল তীব্র ঘূর্ণিঝড়৷ রাতভর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়া ফণীর ছোবলে তেমন ক্ষতি হল না৷ তবে শহরের দু,একটি এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে৷ পশ্চিমের জেলাগুলিতে কিছুটা বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাব থাকলেও, সকাল গড়াতেই আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে৷ রবিবার থেকে পুরোপুরি কেটে যাবে ফণীর প্রভাব৷ মেঘ কেটে ফের রোদ উঠবে৷ ফিরবে গ্রীষ্মের পরিচিত আবহাওয়া৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন : আয়লার স্মৃতি ফেরার আতঙ্কে কাঁটা সুন্দরবনবাসী, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন]

এই মুহূর্তে ফণীর গতিবিধি বলছে, এবার তা নদিয়া, মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে শক্তি আরও ক্ষয় করে ঢুকবে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে৷ সেখানেও ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন৷ ত্রাণ শিবির করে ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে সমুদ্রের তীরবর্তী বাসিন্দাদের৷ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১৯ টি জেলায়৷ তবে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্থলভাগের উপর দিয়ে হওয়ায় শক্তি ধীরে ধীরে অনেকটাই কমেছে৷ বাংলাদেশে প্রবেশের সময় হয়ত এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার৷  

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ