Advertisement
Advertisement

Breaking News

Safe home

বাংলার ‘সেফ হোম’ গোটা দেশের মডেল হোক, মত ICMR কর্তার

গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ‘সেফ হোম’ অত্যন্ত কার্যকরী মত কেন্দ্রেরও।

Bengal's safe home can be model for whole Nation
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 24, 2020 10:16 pm
  • Updated:July 24, 2020 10:16 pm

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কয়েকদিন আগেই রাজ্যের ‘সেফ হোম’-কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা। শুক্রবার এক ধাপ এগিয়ে দেশের চিকিৎসা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ‘আইসিএমআর’-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গব জানিয়ে দিলেন, কোভিড মোকাবিলায় বাংলার ‘সেফ হোম’ গোটা দেশের মডেল হওয়া উচিত।

শুক্রবার বলরাম ভার্গব-সহ আইসিএমআর-এর অন্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের দীর্ঘসময় ভিডিও কনফারেন্সে হয়। সেখানেই আইসিএমআর-এর প্রধান রাজ্যের সেফ হোম ব্যবস্থার উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। ভিডিও কনফারেন্সের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, “আজকের বৈঠকে রাজ্যের সেফ হোম ব্যবস্থার উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা বলরাম ভার্গব নিজে। তাঁর সঙ্গে অন্য আধিকারিকরাও সেফ হোমের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য অন্য রাজ্যগুলির কাছে মডেল হতে পারে এই ব্যবস্থা। অন্য রাজ্যগুলির কাছে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রস্তাব দেবে আইসিএমআর।” অজয়বাবুর কথায়, কোভিড হাসপাতালগুলির উপর চাপ কমাতে সেফ হোম চালু করা হয়েছে। টেলিফোনে উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির দেখভাল করা এবং দরকারে তাঁদের হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা থাকছে সেফ হোম ব্যবস্থায়। এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে সেফ হোম নিয়ে বিস্তারিত অবগত হন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারাও।

Advertisement

সম্প্রতি সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা। ওই বৈঠকে বাংলার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সেফ হোমের কথা জানান। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ৬ হাজার ৯০৮ শয্যার ১০৬টি ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ‘সেফ হোম’ যে অত্যন্ত কার্যকরী তা স্বীকার করে নেন রাজীব গৌরা। ইতিমধ্যেই বাংলার ‘সেফ হোম’ মডেল অনুসরণ করে উপকৃত হয়েছে রাজস্থানও।

Advertisement

[আরও পড়ুন : রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছুঁইছুঁই, চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার গ্রাফ]

রাজ্যে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে কোভিড। বেড বাড়াতে সরকারি, বেসরকারি দু’টি ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশ বেড কোভিডের জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলির উপর চাপ কমাতে মৃদু্ উপসর্গযুক্ত রোগীদের হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল অনেকের বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থাকার সুবিধা নেই। এদের জন্যই বিনামূল্যে কোভিড হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় আইসোলেশন-সহ থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাকে সেফ হোম নাম দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

[আরও পড়ুন : ট্রেন বাতিলের জল্পনা ওড়াল রেল, রাজ্যের লকডাউনের দিনগুলোতেও চলবে স্পেশ্যাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ