টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আইসি কাজ করছেন তৃণমূলের হয়ে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই বিষোদগার করলেন বাঁকুড়া বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি দেবাশিস দত্ত৷ মধ্যরাতে ওই যুব নেতার ফেসবুক লাইভ মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে বাঁকুড়ায়। মোর্চা সভাপতি দেবাশিসের কথায়, ‘বাঁকুড়া সদর থানার আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তী শাসকদল তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করছেন শহরে।’
[আরও পড়ুন : বসিরহাটে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত শাসকদলের কর্মী, এলাকায় চাঞ্চল্য]
লোকসভা নির্বাচনে এই বাঁকুড়া কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল৷ তা নিয়ে দেবাশিস বাবুর আরও অভিযোগ, পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বিজেপি নেতাকর্মীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করাচ্ছেন আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তী। লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই বাঁকুড়া সদর থানায় বদলি হয়ে এসেছেন পুলিশের এই ইন্সপেক্টর। তিনি বাঁকুড়া সদর থানায় ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ পদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠছিল বিজেপি শিবিরের তরফে। তবে, শুক্রবার রাতে বিজেপি যুব মোর্চার বাঁকুড়া জেলা সভাপতি মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে ওই আইসির বিরুদ্ধে এহেন বিষোদগারে তোলপাড় শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জেলাজুড়ে।
বিজেপির যুব মোর্চার ওই নেতার আচরণে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বাঁকুড়া সদর থানার আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, শুক্রবার রাতে বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি দেবাশিস দত্ত বাঁকুড়া সদর থানা এলাকার পুরন্দরপুরে একটি হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে একজনের সঙ্গে বচসায় জড়ান। বাঁকুড়া শহরের দোলতলা এলাকার ওই বাসিন্দা একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন আইসি। পরে গভীর রাতে বিজেপির যুব মোর্চার ওই নেতা ফেসবুক লাইভে তাঁর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন। এনিয়ে সঞ্জয়বাবুর বক্তব্য, ‘বিষয়টি আমি আমার পুলিশ সুপারকে জানাব। তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেই মোতাবেক আমি পদক্ষেপ নেব।’
[আরও পড়ুন :ভোটার কার্ড সঙ্গে নেই? জামাইষষ্ঠীর আনন্দ মাটি সীমান্তবর্তী গ্রাম চরমেঘনায়]
তবে বাঁকুড়া জেলা যুব নেতার এহেন কাজে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে পদ্মফুল শিবির। দেবাশিস দত্তর এহেন কাজকে ভালভাবে নিচ্ছে না দল। দলের অন্দরেই তাঁর এহেন কাজ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে যুব মোর্চার জেলা সভাপতি বিষয়টিতে অনড়। তাঁর অভিযোগ, ‘গত শুক্রবার রাতে পুরন্দরপুর হোটেলে আগে থেকেই বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খাবার খেতে ঢোকা মাত্রই তিনি আমাকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। হোটেলের রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে তিনি আমার ভাই ও আমাকে গ্রেপ্তার করে রাতে ‘দাওয়াই’ দেওয়ার হুমকি দেন। বিনা কারণে তিনি আমাকে হুমকি দেন।’
দেখুন ভিডিও: