রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: অফিস থেকে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। বুধবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে রেললাইন থেকে এক হোমগার্ডের দেহ উদ্ধার করল জিআরপি। যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি খোদ কাঁথির এসডিপিও-র দেহরক্ষী ছিলেন। এটি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন:সাতসকালে গুলি চলল বিটি রোডে, জখম তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী]
মৃত হোমগার্ডের নাম অনুপম মিশ্র। তাঁর পোস্টিং ছিল কাঁথি থানায়। এসডিপিও-র দেহরক্ষী ছিলেন অনুপম। দিঘা জিআরপি সূ্ত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের সৈয়দপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে রোজ ট্রেনে কাঁথি আসতেন ওই হোমগার্ড। ডিউটি শেষে রাতে আবার ফিরে যেতেন। সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্যই কাঁথি থেকে রওনা হয়েছিলেন অনুপম। কিন্তু, রাতে আর সেখানে ফেরেননি তিনি।
বুধবার সকালে রামনগরেরই সৈয়দপুরে কাছে দিঘা-তমলুক রেললাইনে অনুপম মিশ্রের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে জিআরপি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনুপমের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। গভীর ক্ষত ছিল ডান পায়ের হাঁটুর কাছেও। তবে শরীরের বাকি অংশ কার্যত অক্ষত বলা চলে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ পাঁশকুড়া থেকে দিঘাগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কাতেই সম্ভবত মারা গিয়েছে এসডিপিও-র দেহরক্ষী অনুপম মিশ্র। তবে আত্মহত্যা সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না জিআরপি আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তদন্ত। এদিকে বুধবার সকালে ছেলের মৃত্যুর খবরে শোকে দিশেহারা অনুপম মিশ্রের পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বিয়ে করেছিলেন অনুপম। রামনগরের সৈয়দপুরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও তিন মাসের সন্তানের সঙ্গে থাকতেন তিনি।