Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রয়াত সুলতানের নামে সিবিআইয়ের নোটিস, ক্ষুব্ধ মমতা

মৃত্যুর জন্য ঘুরিয়ে তদন্তকারী সংস্থার দিকে আঙুল তৃণমূল নেতৃত্বর।

CBI notice hours after Sultan Ahmed's death irks Mamata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 4, 2017 11:24 am
  • Updated:September 29, 2019 4:58 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুলতান আহমেদের মৃত্যুতেও ছাড়ল না বিতর্ক। সহকর্মীকে হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারণা, মানসিক চাপের জন্য তাঁর এই পরিনতি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মৃত্যুর পরও সিবিআই তাঁকে নোটিস পাঠায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি।

[হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ]

Advertisement

এদিন নবান্নে বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে রিভিউ বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকর পর এভাবেই তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকে আঙুল তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুলতান আহমেদ তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দুঃখজনক। নারদা তদন্তের জন্য খুবই টেনশনে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন চাপ সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় উলুবেড়িয়ার সাংসদের। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতি সিবিআই কতটা অমানবিক তা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার সুলতান আহমেদ মারা যাওয়ার পরও সিবিআই নোটিস পাঠায়। দলীয় সাংসদের মৃত্যুতে দলনেত্রীর থেকে একধাপ এগিয়ে সিবিআইকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন সুব্রত বক্সি। তৃণমূল সভাপতির অভিযোগ, কেন্দ্র সরকারের অঙ্গুলিহেলনে তদন্তের নামে মানসিক চাপে ফেলা হয় সুলতানকে। সারদা-নারদার নাম করে গত কয়েক মাস ধরে তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে সুলতানকে ব্যতিব্যস্ত করা হয়। যার জেরে তিনি পরিবার ও সামাজিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে সিবিআই অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি। সূত্রের খবর, সুলতানের মৃত্যুর পর কীভাবে তদন্ত এগোবে তা নিয়ে বৈঠকে বসে সিবিআই।

Advertisement

[আরও কোণঠাসা মুকুল রায়, হারালেন গুরুত্বপূর্ণ পদ]

নারদা কাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যে সিবিআই এবং ইডির কাছে হাজিরা দিয়েছেন সুলতান আহমেদ। তদন্তকারীদের কাছে তিনি জানিয়েছিলেন ক্লাবের জন্য ওই টাকা নিয়েছিলেন। তাঁর ভাই তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদও এই ঘটনায় অভিযুক্ত। নারদ তদন্তে হাজিরার জন্য মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের কাছে ই-মেল করে এক মাস সময় চেয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন শয্যাশায়ী, লন্ডনে চিকিৎসা চলছে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর কী অসুস্থতা এবং কোথায় চিকিৎসা চলছে তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ