রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভোটের আগের দিন মেদিনীপুর গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বিজেপি প্রার্থী, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের এই অভিযোগ তুলে দিলীপ ঘোষের উপর চড়াও হলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। শনিবার বিকেলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এগরার ছত্রি এলাকা। পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবে এখনও থমথমে এলাকা।
[আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনের আসামির রহস্যমৃত্যু, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা বলে অনুমান]
রবিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা আসনে ভোট। নিয়ম অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ছিল শেষ প্রচারের সময়। কিন্তু শনিবারও মেদিনীপুরের এগরা এলাকায় দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে দেখতে পেয়েই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, ভোটের আগের দিন ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এলাকায় হাজির হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এরপরই ভোটারদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুলে দিলীপ ঘোষের উপর চড়াও হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয় তাঁর গাড়িতেও। প্রার্থীকে রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। সেখানে দু’পক্ষের হাতাহাতিতে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এগরার ছত্রি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় এগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ব্রাত্য পুরুষ, দেওয়াল লিখন থেকে বুথ এজেন্টের দায়িত্বে তৃণমূলের নারী ব্রিগেড ]
যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দলের কর্মীরা জানিয়েছেন, ছত্রি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী। এর সঙ্গে ভোটের আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই৷ বিজেপির নামে অপপ্রচার করতেই এধরণের অভিযোগ তুলেছে শাসকদলের কর্মীরা। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা বলেন, “ভোটের আগে সন্ত্রাস ছড়াতে এসব করছে তৃণমূল। ভারতীয় জনতা পার্টি এসব কেনাবেচার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা সত্যের জন্য লড়াই করছি। মানুষের জন্য লড়াই করছি।” ভোটের আগের দিন এধরণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত মেদিনীপুরের ভোটাররা৷