ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শেষ হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট। কর্মসূচির সেরে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকারের গাড়ি। আহত হয়েছেন তিন তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যজুড়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে নেমেছে শাসকদল। নিজের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অভাব-অভিযোগ বোঝার চেষ্টা করছে নেতা-মন্ত্রীরা। শনিবার বিকেলে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারের অংশ হিসেবে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামে যান মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, ব্লক সভাপতি-সহ প্রায় দেড় হাজার কর্মী। ব্যানার হাতে এলাকায় মিছিল করেন তাঁরা। কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরি বলেন, “সব এলাকাতেই যেমন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি হচ্ছে, তেমনই চাণক গ্রামেও হচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা উৎসাহের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।”
সেই মিছিল সেরে ফেরার পথে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন লাঠি ও ইট নিয়ে তৃণমূল নেতাদের উপর চড়াও হয়। ভাঙচুর করা হয় মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকারের গাড়িতে। ইটের আঘাতে আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। রাজনৈতিক মহলের খবর, বিরোধী শূন্য মঙ্গলকোটে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে শাসকদলের অনেক নেতা-কর্মীকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। চাণক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রিনা চক্রবর্তীর বাড়িতে কাটমানি ফেরতের দাবি তুলে ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছিল একদল। সেই ঘটনার পর শাসকদলের কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি চাণকে। আচমকাই এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব সেখানে মিছিল করায় কিছুটা হতবাক গ্রামবাসীরা। অনেকের মতেই গ্রামে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতেই এই মিছিলের আয়োজন।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.