রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনা পরিস্থিতি থেকে পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়াল বিজেপির কেন্দ্রীয় থেকে রাজ্য নেতারা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের নিশানা করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য, মুকুল রায় প্রমুখ নেতারা। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর তখন মুখ্যমন্ত্রী ‘মিসিং’। ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার শুরু করল বিজেপি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে রাজ্যের যথেষ্ট সাহায্য মিলছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর এই চিঠির কথা উল্লেখ করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ শনিবার বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার অন্য রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরানোর ব্যাপারে কোনও সহযোগিতা করছে না। কেন্দ্র ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। অন্য রাজ্য ছয় থেকে আটটি ট্রেনে তাদের শ্রমিকদের নিয়ে আসছে। আর বাংলার শ্রমিকরা আসতে পারছে না। কষ্টে আছে। কাউকে আনব না, আর সব দোষ কেন্দ্রের ঘাড়ে চাপাবো এটা আর চলবে না। অমিত শাহ চিঠি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্র সহযোগিতা দিতে রাজি। কিন্তু রাজ্য কি রাজি সহযোগিতা নিতে?’
সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে ‘মিসিং মমতা’ এই প্রচার শুরু করে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কটাক্ষ, ‘ডাক্তাররা পিপিই না পেয়ে কাঁদছে। রোগীরা মৃতদেহের সঙ্গে শুয়ে আছে। অন্য রাজ্যে আটকে থাকা বাঙালিদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করছে না। হাসপাতাল রোগী নিচ্ছে না। আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ।’ রাজ্যের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দেগেছেন কৈলাস। টুইটে আবার মুকুল রায়ের প্রশ্ন, করোনা আক্রান্ত বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী কোথায়?
এদিন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকরা রেললাইন দিয়ে বাংলা থেকে ফেরার পথে নলহাটির কাছে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। রাজ্য সরকার এ রাজ্যে আটকে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদেরও খবর রাখে না। মালদহের বিভিন্ন এলাকার মানুষ যারা ভিনরাজ্যে আটকে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে ওই সমস্ত মানুষদের নামের তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.