দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। আহত ক্যানিং থানার এক কনস্টেবল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘিরপাড় গ্রামে মঙ্গলবার রাতে অভিযানে গিয়েছিলেন রমেশ টুডু নামে ওই কনস্টেবল। সেখানেই তাঁর উপর হামলা চলে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপ্লব সেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য সদলবলে তিনি অভিযানে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, বিপ্লবের বাড়ির সামনে পৌঁছতে পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে সে। রমেশ টুডুর ডান পায়ে লাগে গুলি। আহত কনস্টেবলকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: বেনজির! ‘নিষিদ্ধ’ ভারতীয় গাড়ি নিয়ে কৈলাস পাড়ি কৌশিকের]
দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে বারবার পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সপ্তাহখানেক আগেই আসানসোলে এভাবে দুষ্কৃতী দমন অভিযানে গিয়ে এক এসআই এভাবে গুলিবিদ্ধ হন। বেশ গুরুতর অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে হাওড়ার জগাছা থেকে। বরাবরই অভিযোগ ওঠে, যথাযথ অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াই অনেক সময়ে পুলিশকে পাঠানো হয় অপারেশনে। আর তাতেই তাঁরা বিপদের মুখে পড়েন। রমেশ টুডুর ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। দুষ্কৃতী বিপ্লব সেনের ছোঁড়া গুলিতে ডান পায়ে আঘাত পেয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের দেখেই বাড়ির ভিতর থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে বিপ্লব। সেইসঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে ঘিরে ফেলে তার দলবল। কনস্টেবল রমেশ টুডুর সঙ্গে থাকা অন্যান্যদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাঁরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে আহত হন তিনি। কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বিজেপি নেতার আপত্তিকর ছবি, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির]
সোমবার রাতের এই গুলির লড়াইয়ের পর বিপ্লব সেন পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। বিপ্লব ও তার দলবলের খোঁজে দিকে দিকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে আপাতত কনস্টেবলের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্যই অপেক্ষা করছেন সহকর্মীরা। তাহলে তাঁর কাছ থেকেও কিছু ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে ধারণা তদন্তকারীদের।