সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আগামিকাল লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। সপ্তম দফায় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তার আগে সোশ্যাল সাইটে নির্বাচনী প্রচার করে সমালোচনার মুখে বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ছবিকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে ইভটিজারদের পাকড়াও করে চরম শিক্ষা, সাহসিকতা দেখাল কন্যাশ্রীরা]
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত সবদল। তবে শুধু দেওয়াল লিখন, মিটিং, মিছিল বা দলীয় কর্মিসভা নয়। প্রচারের জন্য এবার সোশ্যাল সাইটকেও হাতিয়ার করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই সোশ্যাল সাইটে প্রচারের ঝড় তুলেছেন। সেইসঙ্গে প্রতি দলের তরফে লোকসভা কেন্দ্রভিত্তিক একটি করে ফেসবুক পেজও তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও চলছে প্রচার। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সেই পেজে একটি ছবি প্রকাশ করে বিপাকে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ‘এআইটিসি বর্ধমান-দুর্গাপুর’ পেজটি থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেই ছবিতে স্কুলের বারান্দায় বসে খুদে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খেতে দেখা যায়৷ শাসকদলের উন্নয়নের ধারা বোঝাতেই এই ছবিটি প্রকাশ করেছিল দল। কিন্তু, সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি অভিযোগ তোলে, সেটি এ রাজ্যের নয়, বিহারের একটি স্কুলের ছবি। এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
[আরও পড়ুন: বিজেপির হয়ে প্রচার! জলপাইগুড়ি থেকে সরানো হল বিএসএফ জওয়ানদের]
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা চিরঞ্জিৎ ধীবর দাবি করেন, ‘‘পোস্ট করা ছবিটি বিহারের। এ রাজ্যের আদতে কোনও উন্নতিই হয়নি, সেই কারণেই অন্য রাজ্যের ছবি ব্যবহার করতে হচ্ছে প্রচারের জন্য।’’ যদিও বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। তাঁর দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। অকারণে বিজেপি গুজব ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটেও থাকে তা সম্পূর্ণভাবে অনিচ্ছাকৃত। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার আশ্বাসও দেন তিনি। তাঁর কথায়,‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের যা উন্নতি হয়েছে তা আগে হয়নি। সেই কারণেই বিরোধীরা গুজব ছড়াচ্ছে।’’