সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কর্মসূত্রে স্বামী থাকেন হুগলির তারকেশ্বরে। দুর্গাপুরের বাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মারা গেলেন গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইন্সপেক্টরের স্ত্রী। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের আটক করা হয়েছে একজনকে।
[মাঠে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ কৃষক, চাঞ্চল্য বর্ধমানের ভাতারে]
দুর্গাপুর থানার গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইন্সপেক্টর বা এসআই সুব্রত ঘোষ। শহরের ভিড়িঙ্গি আমবাগান এলাকায় একটি বাড়িতে স্ত্রী একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি। এখন অবশ্য বিশেষ কাজে হুগলির তারকেশ্বরে থাকতে হচ্ছে ওই পুলিশ আধিকারিককে। ছেলেকে নিয়ে দুর্গাপুরের বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী তন্দ্রা ঘোষ। শুক্রবার দুপুরে যখন বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ, তখন ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিল্পশহরে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গাপুরে এসআই সুব্রত ঘোষের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া থাকেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবক। অণ্ডালের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী তিনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল সঞ্জয়ের। এমনকী, যখন সু্ব্রতবাবু থাকতেন না, তখনও তাঁর বাড়িতে আসতেন সঞ্জয়। বিষয়টি একেবারেই পছন্দ ছিল না এসআই সুব্রত ঘোষ ও তাঁর পরিবারের অন্যন্য সদস্যদের। সঞ্জয়কে পছন্দ করতেন না ওই পুলিশ আধিকারিকের ছেলেও। তন্দ্রা ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে আটক করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ১(পূর্ব) অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, এক পুলিশকর্মীর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[ পুলওয়ামা কাণ্ডে মন্তব্যের জেরে ঘরছাড়া, অবশেষে বাড়ি ফিরলেন বনগাঁর শিক্ষক]