ছবি: প্রতীকী
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ভালবেসে তরুণ-তরুণী ঘর বাঁধবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। তাই চুঁচুড়ার হুগলি ঘাটের কাছে জুবিলি ব্রিজের উপর থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের। স্থানীয় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় সৌভাগ্যক্রমে ওই তরুণী প্রাণে বেঁচে যান। তবে তরুণের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এখনও চলছে জোর তল্লাশি।
বছর সাতাশের মহম্মদ মুক্তার এবং উনিশ বছর বয়সি স্নেহা খাতুন, উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা। চলতি বছরের শুরুতেই তারা গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দু’জনেই বিয়ের স্বপ্নও দেখছিলেন। কিন্তু মুক্তারের পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক মেনে নিতে রীতিমতো আপত্তি জানান। পরিবারের লোক বাধা হয়ে দাঁড়নোয় ওই যুগল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দু’জনেই আত্মহত্যা করবেন বলে ঠিক করেন।
ওই যুগল শনিবার সন্ধেয় নৈহাটি স্টেশন থেকে ব্যান্ডেল লোকালে চেপে হুগলি ঘাট স্টেশনে পৌঁছয়। তারপর দু’জনে রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে জুবিলি ব্রিজে এসে ওঠেন। এবং ব্রিজের উপর থেকেই তাঁরা গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দেওয়ার পর তরুণ মহম্মদ মুক্তার গঙ্গায় তলিয়ে যান। স্নেহা গঙ্গায় কচুরিপানার মধ্যে আটকে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু এক সময় ধীরে ধীরে গঙ্গায় তলিয়ে যেতে থাকেন। তারপর রাত সাড়ে আটটার সময় হঠাৎই এলাকার মানুষের নজরে পড়ে কেউ একজন হাত তুলে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করছেন।
স্থানীয় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলর নৌকো করে ওই তরুণীকে উদ্ধার করতে নামেন। প্রায় আধ ঘন্টার চেষ্টায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে তামলিপাড়া ঘাটে এনে তোলা হয়। চুঁচুড়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। স্নেহা খাতুন নামে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়। রাতেই ওই তরুণ-তরুণীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন চুঁচুড়ায় ছুটে আসেন। তবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত মহম্মদ মুক্তারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই তরুণের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.