সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই তা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ফণীর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে ওড়িশায়। তবে পশ্চিমবঙ্গকেও ছেড়ে দেবে না ফণী। উপকূল অঞ্চলে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সতর্কবার্তা। ১০৩টি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চল থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ফণী। শুক্রবার ওড়িশার উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে ফণী আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পর ফণীর অভিমুখ হবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশায় আছড়ে পড়ার পর গতিবেগ কমলেও দক্ষিণবঙ্গে ছোবল মারতে যখন ফণী ‘ছোবল’ মারবে, তখন তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি। গতি আরও বাড়তে পারে। এর ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ৩ ও ৪ মে ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়া বইবে বৃহস্পতিবার থেকে। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে এই ঝড়ো হাওয়া বইবে।
[ আরও পড়ুন: বিষ্ণুপুরে বিশাল রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দেখুন ভিডিও ]
এদিকে পুরীতে ফণীর কারণে জারি হয়েছে কড়া সতর্কবার্তা। ওড়িশায় স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরী থেকে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। বিশেষ ট্রেনে তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে হাওড়া থেকে বাতিল করা হয়েছে শতাধিধিক ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস, চেন্নাই-সাঁতরাগাছি এসি এক্সপ্রেস, ইসেট কোস্ট এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস, ফলকনুমা এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস, সেকেন্দ্রাবাদ শালিমার উইকলি এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, ধৌলি এক্সপ্রেস, ভাস্কো দা গামা- হাওড়া অমরাবতী এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-রউড়কেল্লা সুপারফাক্ট ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, পুরী-হাওড়া জগন্নাথ এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দিঘায় সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে উদ্ধার এবং ত্রাণের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের জন্য ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। উপকূলের এলাকাগুলিতে থাকা সাইক্লোন রিলিফ সেন্টার এবং ফ্লাড রিলিফ সেন্টারে ত্রাণ সামগ্রী মজুত করার কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র পাঁচটি দল এ রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে থাকছেন ৪৫ জন করে উদ্ধাকারী। এছাড়া আরও ১৩টি দলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: ফের হামলার হুঁশিয়ারি, বাংলায় নয়া ‘আমির’ নিয়োগ আইএসের ]