Advertisement
Advertisement

Breaking News

পর্যটনের মরশুমে বাতিল দার্জিলিং-কার্শিয়াং রুটের টয়ট্রেন ‘রেড পান্ডা’

কেন নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত?

Darjeeling-Karsing Close Toytrain Service
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 21, 2018 1:44 pm
  • Updated:May 21, 2018 1:44 pm

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: প্রায় দু’মাসের জন্য বাতিল হল দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত টয়ট্রেনের ‘রেড পান্ডা’ পরিষেবা। রবিবার থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই পরিষেবা আর মিলবে না বলেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যথেষ্ট সংখ্যক যাত্রী না হওয়াতেই আপাতত এই পরিষেবা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে। পাহাড়ে যখন পর্যটনের মরশুম। প্রতিদিনই পর্যটকরা আসছেন দার্জিলিংয়ে, তখন আচমকা এই ট্রেন পরিষেবাটি বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম কে নার্জিনারি জানিয়েছেন, “আপাতত এই ট্রেনটি কিছু দিনের জন্য বাতিল করা হলেও পরে তা ফের চালু করা হবে।”

[রাজ্য সরকারের শর্ট সার্কিট হয়েছে, কাকদ্বীপের প্রতিবাদ সভা থেকে তোপ সেলিমের]

পাহাড়ে এখন শান্তি ফিরেছে। স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক দার্জিলিংয়ে এসে পৌঁছচ্ছেন। এই পর্যটকদের একটা বড় অংশের আকর্ষণই অবশ্য টয়ট্রেন। তার জন্য জয়রাইডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবাও চলছে। কিন্তু জয়রাইডের অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য অনেক সময় দার্জিলিং থেকে স্টিম ইঞ্জিনে করে কার্শিয়াং এসে অনেকেই গাড়িতে করে সমতলে নেমে আসতেন। আবার শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে করে কার্শিয়াং পৌঁছে স্টিম ইঞ্জিনে করে ‘রেড পান্ডা’ ট্রেনটিতে চড়ে দার্জিলিং যেতেও পছন্দ করতেন অনেক পর্যটক। তাতে টয়ট্রেনের দীর্ঘ যাত্রাপথ এড়িয়ে পাহাড়ি রেলে চড়ার আনন্দ উপভোগ করা যেত। আবার চড়া ভাড়াও গুনতে হত না।

Advertisement

১০ দফা দাবিতে অবরোধ আদিবাসীদের, রাজ্যজুড়ে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা

এখন হঠাৎই এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় বছর তিনেক আগে এই পরিষেবা চালু করা হয়। মাঝখানে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের তা চালু করা হয়। এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ট্রেনটি আপাতত চলবে না। যদিও ওই রুটে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন পরিষেবা চালু রয়েছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের আধিকারিকদের অবশ্য যুক্তি, আগ্রহী পর্যটকরা চাইলে ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে টয়ট্রেন পরিষেবা উপভোগ করতেই পারেন। কিন্তু যে পর্যটকরা স্টিম ইঞ্জিনের টানে টয়ট্রেনে চড়েন তারা আদৌ ডিজেল চালিত ট্রেনে উঠতে আগ্রহী হবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড টুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন বা এতোয়ার সভাপতি দেবাশিস মৈত্র বলেন, “পর্যটনের মরশুমে এমনটা হওয়া কাম্য নয়। রেড পান্ডার মতো বিশেষ পরিষেবা বন্ধ হলে পর্যটকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ