ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: পুজোর মুখে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পাহাড়। রবিবার সকালে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় খুলেছে দোকানপাট। সচল হয়েছে পরিবহণ। স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে কালিম্পং পুরসভা-সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও। খুলেছে চা-বাগান। এদিকে, এদিনও ফের লেবং-এ বেসরকারি যাত্রীবাহী বাসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গুরুংপন্থী মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
[আরও চাপে মোর্চা সুপ্রিমো, সিআইডির জালে গুরুং ঘনিষ্ঠ ৩ নেতা]
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ১০০ দিন ধরে চলা বনধে বিপর্যস্ত পাহাড়ের জনজীবন। নবান্নে সর্বদল বৈঠকে পর বহিষ্কৃত মোর্চা নেতা বিনয় তামাং বনধ প্রত্যাহারের ডাক দিলেও, মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের হুমকিতে কিছুতেই যেন স্বাভাবিক ছন্দ ফিরছিল না পাহাড়ে। এই পরিস্থিতিতে বিনয় তামাংকে চেয়ারম্যান করে পাহাড়ের জন্য নয়া বোর্ড গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান মোর্চার আর এক বহিষ্কৃত নেতা অনীত থাপা। এরপরই পাহাড়ের পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করে। শনিবার বৈঠক করে রবিবার থেকে দোকানপাঠ খোলার সিদ্ধান্ত নেন দার্জিলিং শহরের ১৯টি ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর জেরেই পুজোর মুখে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করল পাহাড়। রবিবার সকালে দার্জিলিং শহর-সহ পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় খুলেছে দোকানপাট। দার্জিলিং-শিলিগুড়ি রুটে ফের চালু হয়েছে যানচলাচল। কালিম্পং পুরসভা-সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকী, প্রশাসনের সাহায্যে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে বেশ কয়েকটি চা-বাগানেও।
সবমিলিয়ে পাহাড়ে এখন বিনয় তামাং-অনীত থাপার জুটির দাপটে রীতিমতো কোণঠাসা মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। তবে পাহাড়ে ফের নতুন অশান্তি পাকানোর চেষ্টায় কোনও খামতি নেই গুরুং অনুগামীদের। অভিযোগ, রবিরার সকালে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং ফেরার পথে, লেবংয়ের কাছে বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস আটকায় গুরুংপন্থী মোর্চা সমর্থকরা। যাত্রীদের নামিয়ে বাসটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পরে বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় গুরুংয়ের অনুগামীরা। আগুনে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বাসটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।
[টানা বৃষ্টিতে পচেছে ফুল, পদ্মের দামের কাঁটা বিঁধছে পুজোর বাজারে]