Advertisement
Advertisement
Ulen Roy

এখনও হল না উলেন রায়ের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত, পুলিশের বিরুদ্ধে FIR মৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী’র

ময়নাতদন্ত নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে পুলিশ।

Bengali news: Dead BJP leader Ulen Roy's wife lodge FIR against police | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 10, 2020 10:17 am
  • Updated:December 10, 2020 10:22 am

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: স্বামীকে খুন করেছে পুলিশ, এই মর্মে এফআইআর দায়ের করলেন উত্তরকন্যা অভিযানে গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতা উলেন রায়ের (Ulen Roy) স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, আদালতের রায় সত্বেও উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করছে না পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ ময়নাতদন্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে।

বুধবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উলেন রায়ের স্ত্রী মালতী রায়। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্বেও বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, গতকাল দিনভর উত্তরবঙ্গ হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেন মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী ও পরিবার। কিন্তু দেহ মেলেনি। হয়নি ময়নাতদন্তও। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বও।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশার জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ভাতারে, দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম বহু]

উল্লেখ্য, সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানে উলেন রায় নামে ওই বিজেপি কর্মী সমর্থকের বুকে পুলিশের ছোঁড়া রবার বুলেট লেগেছিল বলে অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ঘটনার জন্য বিজেপির তরফে বারবার রাজ্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলা হলেও তা মানতে নরাজ শাসকদল। এই টানাপোড়েনের মাঝেই ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশ এখনও পালন করা হয়নি।

Advertisement

এদিকে আরও এক বিজেপি নেতার দেহে ছররার আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে খবর। তাঁকে প্রাথমিকভাবে শিলিগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছিল। বিজেপি যুব মোর্চার হলদিবাড়ি টাউন মণ্ডলের সভাপতি অমরদীপ রায় ওরফে রাহুল রায় বাড়ি ফিরে আসেন। জলপাইগুড়িতে চিকিৎসা চলছে তাঁর। রবার বুলেটের আঘাত লেগেছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে অমরদীপ রায় বলেন, “রবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভরতি হই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ আমি হলদিবাড়ি হাসপাতালে ডেসিং করাতে যাই। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানে হয়েছে আমাকে। সার্জনকে দেখাতে বলা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন : করোনা কালে বন্ধ স্কুল, একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাতেও সিলেবাসে কাটছাঁট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ