Advertisement
Advertisement

Breaking News

মরা শালগাছ ঘিরে মৃত্যুফাঁদ ঝাড়গ্রামে, আতঙ্ক তুঙ্গে

ব্যাপারটা কী?

Dead Sal Tree Is Now A Death Trap In Jhargram
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 29, 2016 11:46 am
  • Updated:November 29, 2016 12:27 pm

স্টাফ রিপোর্টার: অরণ্য শহর ঝাড়গ্রামে মরা গাছে মৃত্যুফাঁদ তৈরি হয়েছে৷ অরণ্য শহরের তাজ শাল গাছ৷ কিন্তু সুকৌশলে মেরে ফেলা শালগাছগুলি মৃত্যুবাহক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শহর ঝাড়গ্রামের যত্রতত্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে৷ শহরের মূলত পুর এলাকায় থাকা গাছগুলির দায়িত্ব পূর্ত দফতরের৷ কিন্তু পূর্ত দফতরের সমস্যা হাজারো গাছের উপর দিয়ে পেরিয়ে যাওয়া বা জড়িয়ে থাকা হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ তার৷ সেই তার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা না সরিয়ে নিলে পূর্ত দফতর মরা শালগুলি কাটতে পারছে না৷ বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার বক্তব্য, তাদের নির্দিষ্ট তথ্য এবং খরচ দিয়ে পূর্ত দফতর জানালে দফতর বিদ্যুতের তার সরিয়ে নেবে৷
ঝাড়গ্রাম মানেই শাল অরণ্যর বীথি৷ শহর ঝাড়গ্রামকে ঘিরে রেখেছে অত্যন্ত সুন্দর, সুদীর্ঘ শালগাছ৷ কিন্তু আজ সেই তাজই বিপন্ন৷ আর এই বিপন্নতা থেকে তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা৷ অসাধু কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে সুকৌশলে নানা কায়দায় মেরে ফেলেছে কয়েকশো শালগাছ৷ আর সেই মরা শালগাছগুলি মৃত্যুফাঁদ তৈরি করেছে৷ প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আটের দশকের গোড়ায় ঝাড়গ্রাম পুরশহরে শালগাছ ছিল প্রায় ৮ লক্ষ৷ বর্তমানে সেই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৬৫২তে৷ এর মধ্যে ‘মরে গিয়েছে’, ‘চিরে ফেলা’ হয়েছে ৮৭৬টি শালগাছ৷ আর গত পাঁচ বছরে ১২টি শালগাছ ভেঙে পড়েছে৷ মরা গাছ ভেঙে পড়ে জখম হয়েছে ২ জন৷ বছর দশেক আগে গাছ ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল একজনের৷ ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথা মোড় থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল হয়ে পুরাতন ঝাড়গ্রাম, বাঁদরভোলা বিট পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর অসংখ্য মরা শাল গাছ দাঁড়িয়ে আছে৷ এছাড়া রবীন্দ্র পার্ক এলাকা, ঘোড়াধরা স্টেডিয়াম, শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলাডিহি, গোয়ালাপাড়া, কদমকাননে অসংখ্য মরা শালগাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে৷
এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম মহকুমা পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্ত্তকার প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, “আমরা বছরখানেক আগে মরা শালগুলি কাটার লক্ষ্যে টেন্ডার করেছিলাম৷ বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাকে বলা হয়েছিল গাছের গায়ে লেগে থাকা, উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারগুলিকে সরিয়ে নিতে৷ কিন্ত্ত ওরা তা করেনি৷ আমরা আবারও টেন্ডার করে গাছ কাটার পদক্ষেপ করছি৷ বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাকেও বিষয়টি জানাব৷”

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ