Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dilip Ghosh

মুখ্যমন্ত্রীকে ‘কুকথা’র জেরে আদালতে দিলীপ, খোঁচা ‘আমার নামে মামলা করে অনেকে বিখ্যাত হতে চায়’

'নির্বাচনে অনেকের হাত, পা, মাথা ভাঙে, আমার গলা ভেঙেছে', আপশোস দিলীপের!

Dilip Ghosh gets bail in case of derogatory remark against CM
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 20, 2024 6:17 pm
  • Updated:April 20, 2024 7:57 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘কুকথা’! জামিন নিতে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজিরা দিলেন দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। জামিন পেয়েই ফের তৃণমূলকে ফের কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “আমাকে মামলা দিয়ে স্বাগতম করা হয়।”

২৫ মার্চে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপরিচয় নিয়ে কুকথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই প্রেক্ষিতে দিলীপের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এমএএমসির বাসিন্দা কাজল দাস। তাঁর দাবি ছিল, এই কুকথায় শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়নি, অসম্মানিত হয়েছেন সব মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য জেলা বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাসে হাজিরা দেন দিলীপ। দিলীপের আইনজীবী বিচারকের কাছে পুরো ঘটনা তুলে ধরেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী কোনও বিরোধিতা করেননি। সমস্ত দিক বিবেচনা করে বিচারক তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জেলে কেজরিওয়ালকে ধীরে ধীরে হত্যার চেষ্টা! বিস্ফোরক অভিযোগ আপের]

আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”আমি যেখানেই যাই, সেখানেই মামলা দিয়ে স্বাগতম করে আমাকে। এখানেও আমার নামে মামলা হয়েছে। আমার নামে মামলা করে অনেকে বিখ্যাত হতে চায়। আমাকে আবার কষ্ট করে আদালতে আসতে হয়। নির্বাচন কমিশনে একটা অভিযোগ হয়েছিল। তারই জামিন নিতে এসেছিলাম আদালতে।”

Advertisement

আদালতে হাজিরা প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “মহিলাদের অপমান করার শাস্তি পাচ্ছে দিলীপ ঘোষ।” জবাবে দিলীপ বলেন,”৪ তারিখের পর দেখা যাবে কে শাস্তি পাবে! যার সাথে দলের লোক নেই সে ডায়লগ মারলে কে শুনবে!” তৃণমূলকে আক্রমণ করে তাঁর কটাক্ষ,”গাজন হলে গাজনের বাজনা বাজে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন বাজনা আর গন্ডগোল দুটোই এক। নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকে কড়াকড়ি করছে। যারা গন্ডগোল করছে নির্বাচনের পরে তাদেরও থাকতে হবে। হিসাব হবে তখনই।”

[আরও পড়ুন: দূরদর্শনের গৈরিকীকরণ! লোগো বিতর্কে মুখ খুললেন প্রসার ভারতীর প্রধান]

দলীয় কর্মী ও আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আদালত সংলগ্ন একটি হোটেলে মধ্যাহ্নভোজন সারেন। মেনুতে ছিল ডাল, ভাত, দুই রকম শাক, করলা ভাজা, শুক্তো, পটলের তরকারি, পিঁয়াজ পোস্ত, পোস্তর বড়া ও স্যালাড। খেতে খেতেই তিনি মজা করে বলেন,”নির্বাচনে অনেকের হাত, পা, মাথা ভাঙে। আমার গলা ভেঙে গিয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ