Advertisement
Advertisement
জগদীপ ধনকড়

‘যুদ্ধ’ শেষের ইঙ্গিত! বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমন্ত্রিত জগদীপ ধনকড়

আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সমাবর্তনে যাবেন বলেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

Governor Jagdeep Dhankar invited in Barasat University's convocation
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 23, 2020 12:32 pm
  • Updated:July 18, 2022 6:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ‘যুদ্ধের’ অবসান। ফিরল সুদিন। বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমন্ত্রণ পেলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার টুইটে সেকথাই জানালেন তিনি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সমাবর্তনে যাবেন বলেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠকেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

দায়িত্ব গ্রহণের পরই রাজ্যকে প্রায় অন্ধকারে রেখে শিলিগুড়িতে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। সেই থেকে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর থেকে কখনও শিক্ষা, কখনও স্বাস্থ্য আবার কখনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েছে। তৈরি হয়েছে দূরত্ব। শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ‘অতি সক্রিয়তাকে’ ধামাচাপা দিতে রাজ্য বিধানসভায় আচার্যের ক্ষমতা খর্বের বিলও পাশ করা হয়। তারপরেও রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাত ফসকে লাইনে, মৃত্যু ছুঁয়ে ফিরলেন যুবক]

কিন্তু কোনও কারণ উল্লেখ না করে উপাচার্যদের অনুপস্থিতির জেরে বানচাল হয়ে গিয়েছে বৈঠক। যাদবপুর, কলকাতা এবং কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ পত্রেও নাম ছিল না ধনকড়ের। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। তবে অশান্তির আবহেই দিনকয়েক আগে রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠকও করেন দু’জনে। ওই বৈঠকের পর বেজায় খুশি রাজ্যপাল। রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক গতিমুখ বদল করে উন্নতির পথে হাঁটছে বলেই নিজে মুখে সেকথা স্বীকার করেন জগদীপ ধনকড়।

Advertisement

সম্পর্কের উন্নতির পরই এবার বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমন্ত্রণ পেলেন রাজ্যপাল। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি থাকবেন বলেই টুইটে উল্লেখ করেছেন জগদীপ ধনকড়। আচার্য হিসাবে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত থাকবেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয় ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসারও কথা তাঁর।

রাজনৈতিক মহলের মতে, সমাবর্তনে আমন্ত্রণ পাওয়া দেখেই বোঝা গিয়েছে যে রাজ্য-রাজ্যপালের সুসম্পর্কের গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। তবে ওয়াকিবহাল মহলের দুশ্চিন্তা একটাই, রাজভবন-নবান্ন সম্পর্ক কবে ভাল, কবে নয়, তা বোঝা খুবই দুষ্কর। তাই ‘যুদ্ধ’ ভুলে কতদিন ‘শান্তি’র বাতাবরণ বজায় রাখতে পারে দু’পক্ষ, সেটাই এখন দেখার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ