ছবি: প্রতীকী
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফের বিজেপি (BJP) কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। মঙ্গলবার এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জের (Raigunj) গৌরি পঞ্চায়েত এলাকায়। সকালে আমগাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বছর পঞ্চান্নর দেবেশ বর্মনের দেহ। শরীরে উপর তৃণমূলের(TMC) পতাকা রাখা। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি বিষ্ণুপুরে বিজেপির বুথ কর্মী ছিলেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাতে গেলে ব্যাপক অশান্তির মধ্যে পড়ে পুলিশ। মৃতের দেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় প্রতিবেশী, পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জের দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয়েছে দেবেশ বর্মনের দেহ। আমগাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল ঝুলন্ত দেহটি (Hanging deadbody)। তবে মাটিতে তাঁর পা স্পর্শ করা ছিল। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধেবেলা চা খাওয়ার নাম করে সাইকেল করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দেবেশবাবু। আর বাড়ি ফেরেননি। এদিন সকালে যেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তারই অদূরে সাইকেলটি পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দেহের উপর তৃণমূলের পতাকা রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দেবেশবাবুর স্ত্রী ও তিন মেয়ে ও ছেলে রয়েছে। তবে তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মৃতের স্ত্রী কলাবতী বর্মনের অভিযোগ, ”আমার স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।”
২০০৮ সালে সিপিএমের (CPM) পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন দেবেশ বর্মন। তারপর কংগ্রেসে যোগ দেন। পরবর্তীতে সেই দলও ছেড়ে নাম লিখিয়েছিলে বিজেপিতে। BJP’র জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের অভিযোগ, “বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে খুনের প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই খুনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে।” পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “দেহ ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” যদিও এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.