Advertisement
Advertisement

Breaking News

পোলবা

মেয়াদ উত্তীর্ণ ‘আনফিট’ গাড়িই পুলকার! পোলবা কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্কুলে যাওয়ার পথে পড়ুয়াদের নামিয়ে পালটানো হত গাড়ি।

Hooghly pool car not fit for travel, reveals investigation
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 15, 2020 4:10 pm
  • Updated:February 15, 2020 7:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোলবা দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়িকে ব্যবহার করা হচ্ছিল পুলকার হিসেবে। স্কুলে যাওয়ার পথে একাধিকবার বদল করা হতো গাড়ি, নিয়ম ভেঙেই অতি দ্রুত গতিতে গন্তব্যের দিকে ছুটতেন চালক, এসব কারণেই দুর্ঘটনা, দাবি অভিভাবকদের।  বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শুক্রবার শ্রীরামপুর থেকে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে অবস্থিত একটি বেসরকারি স্কুলে আসছিল একটি পুলকার। গাড়িটির ভিতরে ড্রাইভার ছাড়া ছিল  ১৪ জন শিশু। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পোলবার কামদেবপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ সামনে থাকা একটি লরিতে ধাক্কা মারে পুলকারটি। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি নয়ানজুলিতে উলটে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন চারজন। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে ঋষভ সিং, অমরজিৎ সাহা ও দিব্যাংশ ভগত নামে তিনজনকে গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে কলকাতার SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শীতের বিদায়বেলায় ফের রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]

এই ঘটনার তদন্তে নেমেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়ে যান যে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল। এরপরই তদন্তের স্বার্থে গাড়িটি পরীক্ষা করা হয়। অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা। এতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি দু’বছর ফিটনেস মেয়াদ উত্তীর্ণ। কীভাবে মেয়াদ শেষে পর গাড়িটিকে পুলকার হিসেবে ব্যবহার করলেন চালক? কেনই বা স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ল না বিষয়টি? উঠছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন স্কুলে যাওয়ার পথে পড়ুয়াদের নামিয়ে গাড়ি বদলের কথা। আহত ঋষভের বাবা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারটিতে ছেলেকে তোলেননি তিনি। মাঝপথে ঋষভকে তোলা হয়েছিল ওই গাড়িটিতে। প্রতিদিনই মাঝপথে গাড়ি বদল করা হত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু কেন দিনের পর দিন মাঝপথে বদলে যেত গাড়ি? সব জেনেও কেন কোনও পদক্ষেপ নেননি অভিভাবকরা? গোটা ঘটনায় কী ভূমিকা ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন যে, পুলকারগুলিকে নিয়ম মেনেই পথে নামতে হবে। পুলকারের আদৌ রেজিস্ট্রেশন আছে কি না। মেয়াদ ফুরিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে স্কুল গুলিকে। এ বিষয়ে স্কুলের তরফে কোনও রকম গাফিলতি প্রকাশ্যে এলও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভূতে ধরেছে’ সন্দেহে চিকিৎসার বদলে ঝাড়ফুঁক, কুসংস্কারের বলি ২ শিশু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ