Advertisement
Advertisement
Hooghly

মাকে ছাড়া থাকতে চায় না এক মুহূর্ত, ৩ বছরের সন্তানকে নিয়ে ভোটের ডিউটিতে শিক্ষিকা

হুগলির ভোটকর্মীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা।

Hooghly woman to serve Lok Sabha Election duty with her son

হুগলির দাদপুরের সাটিথানের ইসমাতারা খাতুন

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 19, 2024 9:25 pm
  • Updated:May 19, 2024 9:25 pm

সুমন করাতি, হুগলি: একদিকে মাতৃত্ব। অন্যদিকে পেশাগত দায়বদ্ধতা। দুদিক সামলাচ্ছেন সমান তালে। মায়েরা যে সব পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন হুগলির দাদপুরের সাটিথানের ইসমাতারা। পঞ্চায়েতের পর লোকসভা নির্বাচনেও ছোট্ট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের ডিউটিতে শিক্ষিকা। তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন প্রায় সকলেই।

হুগলির দাদপুরের সাটিথান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি ইসমাতারা খাতুনের। তিনি বৈঁচির পোটবা প্রাথমিক স্কুলের প্যারাটিচার। লোকসভা নির্বাচনে ভোটের কাজ পড়েছে ধনেখালি বিধানসভা এলাকায়। রবিবার চুঁচুড়ায় হুগলি মহসীন কলেজে ডিসিআরসি থেকে ইভিএম নিতে যান ইসমাতারা। সেখান থেকে ভোটকর্মীরা নিজ নিজ বুথে রওনা দেন। আর পাঁচজন ভোটকর্মীর মতো ইসমাতারাও গিয়েছিলেন। সঙ্গে বছর তিনেকের ছেলে শেখ সাহিল। ইসমাতারাকে অবশ্য ভোটের কাজে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। তবে ধনেখালি যে যেতেই হবে তাঁকে। তাই ছোট্ট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের ডিউটিতে মা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাল কালবৈশাখী, রাজ্যে কবে ঢুকছে বর্ষা? জানাল হাওয়া অফিস]

ভোটের কাজে ছোট ছেলেকে নিয়ে গেলে অসুবিধা যে একেবারে হবে না, তা নয়। তবে ইসমাতারা জানান, তাঁর বাড়িতে ছেলেকে দেখার মতো কেউ নেই। শাশুড়ির বয়স হয়েছে। তার উপর আবার তিনি অসুস্থ। স্বামী শেখ সামিম আখতার দুবাইতে থাকেন। পাণ্ডুয়ায় বাপের বাড়ি রয়েছে ঠিকই। তবে সেখানে ছোট্ট সাহিলকে রেখে আসা সম্ভব নয়। কারণ, খুদে সন্তান মাকে ছেড়ে থাকতে চায় না প্রায় এক মুহূর্ত। তাই বাধ্য হয়ে তাকে নিয়েই ভোটের কাজে ইসমাতারা। সহকর্মীরা কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁকে। যদিও এই প্রথম নয়। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভোটের ডিউটি পড়েছিল তাঁর। সেই সময় কোলের ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই করেছিলেন কাজ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে বিস্ফোরক পাঠাচ্ছে ভারত! অস্ত্র বোঝাই জাহাজ আটকাল নয়াদিল্লির বন্ধু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ