দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ডেথ সার্টিফিকেট লিখেছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। সার্টিফিকেটে তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বরেরও উল্লেখ নেই। এই অভিযোগে তুলে নার্সিংহোমে তাণ্ডব চালালেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। মার খেলেন ওই নার্সিংহোমের দুজন চিকিৎসকও। একজনের আঘাত রীতিমতো গুরুতর। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হিন্দমোটরে। মৃতের পরিবারের দাবি, ডেথ সার্টিফিকেটে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল না। তাই মৃতদেহটি দাহ করতে দেয়নি শ্মশান কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে রিলাইফ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের দাবি, নয়া নিয়মে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরাও ডেথ সার্টিফিকেট লিখতে পারেন।
[ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল দুষ্কৃতীরা, চাঞ্চল্য মন্তেশ্বরে]
মৃতের ব্যক্তির নাম দিলীপ সরকার। উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন দিলীপবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় হিন্দমোটরের রিলাইফ নার্সিংহোমে। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ডেথ সার্টিফিকেটও লিখে দেন তিনি। কিন্তু, ওই ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যখন মৃতদেহটি দাহ করতে শ্মশানে পৌঁছন পরিবারের লোকেরা, তখনই ঘটে বিপত্তি। মৃতের বাড়ির লোকের অভিযোগ, ডেথ সার্টিফিকেটে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের উল্লেখ ছিল না। তাই মৃতদেহটি দাহ করার অনুমতি দেয়নি শ্মশান কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, যে চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেটটি দিয়েছিলেন, তিনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বলে দাবি করেছে তারা। আর এতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রবিবার সকালে হিন্দমোটরের রিলাইফ নার্সিংহোমে গিয়ে তাণ্ডব চালান রোগীর পরিবারের লোকেরা। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ও নার্সিংহোমের আরও ১ জন চিকিৎসককে। পুলিশ গিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[সীমান্তবর্তী পুরুলিয়ায় মাওবাদী শিবির গুঁড়িয়ে দিল যৌথবাহিনী, উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র]
ওই নার্সিংহোমের মালিকের সাফাই, নয়া নিয়মে এখন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেন। তবে নেহাতই ভুলবশত সার্টিফিকেটে নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি লিখতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। নার্সিংহোম মালিকের দাবি, রবিবার সকালে যখন ঘটনাটি তাদের নজরে আনেন মৃতের পরিজনেরা, তখন তাঁদের ফের নতুন করে একটি ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়।
[‘একটু হেল্প করুন!’ হবু স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে হাজির ভোটকর্মী