সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ডক্টরস ডে’-তে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল। এক কিশোরীর শরীরে তিনটি কিডনির খোঁজ পেলেন ডাক্তাররা।
এমন বিরল ঘটনা সচারচর দেখতে পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা। ১১ বছরের নীলিমা পতিহারের দেহে মিলল তিনটি কিডনি। শনিবার পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসক প্রণদ টুডুর কাছে আসে। নিয়মমাফিক তিনি আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করতে পাঠান। সেখানে দেখা যায়, বাচ্চাটির ডানদিকে দু’টি ও বাঁদিকে একটি কিডনি রয়েছে। যা দেখে তাজ্জব হয়ে পড়েন ডাক্তার প্রণদ টুডু ও তাঁর সহকর্মীরা।
[সোনারপুরে জামাই খুনে আটক শ্বশুর, চাঞ্চল্য]
এখানেই শেষ নয়, আদৌ ওই কিশোরীর দেহে তিনটি কিডনি রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে সঙ্গে সঙ্গে সিটি স্ক্যানও করতে বলেন ডাক্তাররা। সেখানেও একই ফল দেখতে পাওয়া যায়। ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ডাক্তাররা এই ঘটনাকে বিরল দৃশ্য বলে মন্তব্য করেন। প্রণদ টুডু বলেন, “ডক্টরস ডে’র দিন এমন একটি ঘটনায় আমরা অবাক। তবে ওই কিশোরীর সমস্যাটা যে ধরা পড়েছে সেটা ভাল খবর।”
তিনি মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ঝাড়গ্রামে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসার যন্ত্রপাতির জন্যই এত দ্রুত ওই কিশোরীর শারীরিক সমস্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হল। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে পেরে ডাক্তাররাও খুশি বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বনী কুমার মাঝি বলেন, “এটা বিরল ঘটনা। তবে হাসপাতালে উন্নত যন্ত্রপাতি আছে বলেই জটিল সমস্যারও সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে। বিরল ঘটনা হলেও বাচ্চাটির কোনও সমস্যা হবে না।” কিশোরীর পরিবারও এই ঘটনা জানতে পেরে প্রথমে চিন্তায় পড়লেও এখন ডাক্তারদের আশ্বাস ও হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে খুশি।