Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dilip Ghosh

ভোটের পর শায়েস্তা করার হুমকি! দিলীপের গাড়ি ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের

বিজেপি কর্মীর আক্রান্ত হওয়া নিয়ে হুমকি দিয়ে বিপাকে দিলীপ ঘোষ।

Lok Sabha Polls 2024: TMC supporters allegedly raises go back slogan for Dilip Ghosh
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 4, 2024 11:22 pm
  • Updated:April 4, 2024 11:22 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ভোটমুখী বাংলায় বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর গাড়ি ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমানের হলদি বাস স্ট্যান্ডে চা চক্র সেরে ফেরার সময় তালিত মোড়ে তৃণমূল কর্মীরা দিলীপ ঘোষের কনভয় ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে আটকে যায় দিলীপ ঘোষের কনভয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রক্ষীরা রাস্তায় নেমে তাঁর কনভয়কে এগিয়ে নিয়ে যান। বাঘার এলাকায় বিজেপি কর্মীর আক্রান্ত হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ ভোটের পর শায়েস্তা করার হুমকি দেন। তারই প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে বর্ধমানের লোকো কলোনি এলাকাতেও দিলীপ ঘোষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়।

এদিন বর্ধমান-১ ব্লকের রায়ান গ্রামে মর্নিং ওয়াক করে প্রচার শুরু করেন দিলীপ। রায়ান থেকে কুড়মুন হয়ে ভাতারের বিভিন্ন গ্রামে প্রচারে যান। ভাতারের কুবাজপুর গ্রামে অশীতিপর এক বৃদ্ধা দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাছে চলে আসেন ছেলের সঙ্গে। গাড়ির ভিতরে হাত ঢুকিয়ে হাত রাখেন দিলীপের মাথায়। বলেন, “তোমাকে প্রণাম করছি না। তোমার মায়ের বয়সি আমি। আশীর্বাদ করছি।” দিলীপ বলেন, “মাথায় হাত লেগেছে না বজ্রও পড়বে না।” এদিন প্রচারের ফাঁকে তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার টিপস দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ। বলেছেন, “বেশি করে জল খান। মিষ্টি ও ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে থাকতে হবে। কোনও অপ্রাকৃতিক বা রাসায়নিক মেশানো খাবার চলবে না। ডাবের দাম বেশি, তাই লেবুজল অল্প নুন মিশিয়ে খাওয়া ভালো।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের রোষানলে বলিউডের ‘খান সাম্রাজ্য’! শাহরুখ-সলমনদের হয়ে ‘ধুয়ে দিলেন’ ভারতীয়রা]

কুবাজপুর গ্রামে ভোটপ্রচারে এসে প্লেট ভর্তি ক্ষীর দেখে লোভ সামলাতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী। দলীয় কর্মী রবি ঘোষের বাড়িতে ক্ষীর খেতে খেতে দিলীপ ঘোষ তারিফ করে বলেন, “বাহ। ঘোষের বাড়ির ক্ষীর বলে কথা। একেবারে রাবড়ি।” আবার মজা করে দিলীপবাবু বললেন, “আমার মা বলেছেন, ক্ষীর ছানা পেলে খেয়ে নিবি। আর ঘোষের বাড়িতে ভাত খাবি না। আমি হলাম বড় ঘোষ।” কুবাজপুর গ্রামের মোড়ে দুই পাঁচজন পুরুষ মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দিলীপবাবু গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। ওইসময় প্রবীণ এক গ্রামবাসী দিলীপ ঘোষকে বলেন,” গাড়িতে হর্ন বাজিয়ে যেতে পারতেন তো। তাহলে গ্রামের সবাই বুঝতে পারত দিলীপ ঘোষ যাচ্ছে।” হরেনবাবু কি বলতে চাইছেন বুঝেও ফেলেন দিলীপবাবু। তিনি গাড়ির চালককে ইশারা করতেই একবার হুটার বাজিয়ে দেন চালক। হরেনবাবু তখন দিলীপ ঘোষকে বলেন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, এটাই বলছিলাম।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে রাইমাকে হুমকি! ‘সুচিত্রার নাতনি হয়েও প্রোপাগান্ডা ছবিতে কেন?’ চিন্তায় সেন পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ