সম্যক খান, মেদিনীপুর: নিজে ময়দানে নেমে মেদিনীপুর পুরসভার কাউন্সিলরদের অসন্তোষ মেটালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার কালীঘাটে দলের জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এভাবে কাউন্সিলরদের বিদ্রোহ করে অবস্থানে বসা দল বরদাস্ত করবে না। এসব বন্ধ করার জন্য তিনি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরাকে। কেশিয়াড়ির কোন্দলকে মাথায় রেখে এদিনই কেশিয়াড়ির ব্লক সভাপতি শ্রীনাথ হেমব্রমকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলা নেতাদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিলেন খোদ দলনেত্রী। লোকসভা ভোটের আগে দলের কোন্দল মেটাতে একের পর এক নেতাকে সতর্ক করেন দলনেত্রী। মেদিনীপুরে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার সঙ্গে বিধায়ক জুন মালিয়ার এবং ঘাটালের সাংসদ দেবের সঙ্গে শংকর দলুইয়ের বিবাদ – সব কিছুই উল্লেখ করেন দলনেত্রী। মেদিনীপুর শহরে জর্জকোর্ট ময়দান ঘিরে ফেলা থেকে শুরু করে পুরসভায় দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশের বিদ্রোহ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা।
পুরসভায় যে দশ কাউন্সিলর বিদ্রোহ ঘোষণা করে পুরপ্রধান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে অবস্থানে বসেছিলেন। সেই তালিকায় নাম আছে খোদ সুজয় হাজরার কাউন্সিলর স্ত্রী মৌসুমী হাজরার। আবার জর্জকোর্ট ময়দানের মাঝ বরাবর একটি যাতায়াতের রাস্তা ছিল। কালগাং ও আকড়সানগর এলাকা থেকে শহরে ঢোকার মূল রাস্তা ছিল এটি। কিন্তু সেই মাঠ ঘিরে দিয়ে একটু দূরত্বে বিকল্প রাস্তা করে দিয়েছে পুরসভা। ঘটনাচক্রে ওই এলাকাটি শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। যার কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা। মাঠ ঘিরে দেওয়ায় এলাকার মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। সেই খবর কানে গিয়েছে দলনেত্রীর। ফলে এসব নিয়েও এদিন ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সুজয় এবং জুন মালিয়া দুজনকেই যৌথভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দলে এদিন প্রবীণদেরও গুরুত্ব বাড়িয়েছেন দলনেত্রী। মানস ভুঁইয়া, দীনেন রায়ের মতো নেতাদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.