Advertisement
Advertisement

Breaking News

খুন

মনুয়াকাণ্ডের ছায়া শিলিগুড়িতে, স্বামীকে খুন করে পুলিশ হেফাজতে স্ত্রী ও তার প্রেমিক

অভিযুক্তদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Man murdered by wife and her lover in Siliguri, accused arrested
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 10, 2019 7:29 pm
  • Updated:May 10, 2019 7:29 pm

শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: এবার মনুয়াকাণ্ডের ছায়া শিলিগুড়িতে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যাওয়ায় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করল স্ত্রী। জেরার মুখে একথা স্বীকার করেছে আততায়ী৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই মৃতের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাদের আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: ‘টাকার বাক্স দিয়ে বাংলায় ভোট হবে না’, নাম না করে ভারতীকে কটাক্ষ মমতার]

সূত্রের খবর, ৫ মে বিকেল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার কলমজোতের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী পিন্টু ভৌমিক। দীর্ঘক্ষণ পরেও খোঁজ না মেলায় ওই যুবকের পরিবারের তরফে মাটিগাড়া থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে প্রথমে পিন্টুবাবুর স্ত্রী সুমনা ভৌমিক ও মলিন সিংহ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। এরপর জেরার মুখে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সুমনা। সে জানায়, কয়েক বছর আগে ব্যবসার সূত্রে মলিনের সঙ্গে পরিচয় হয় পিন্টুর। ঘনিষ্ঠতা বাড়লে পিন্টুর বাড়িতে যাওয়া-আসা শুরু করে মলিন। সেই সময়ই সুমনার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মলিন। তাঁদের আচরণে সন্দেহ করতে শুরু করে পিন্টু।

Advertisement

এরপরই ওই দম্পতির বিবাদ চরমে ওঠে। স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরতে ফাঁদ পাতেন মিন্টু। সুমনার অজ্ঞাতসারে ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান ওই ব্যক্তি। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তাঁর কাছে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এরপরই পরিকল্পনা মাফিক ৫ মে বাড়ি থেকে বেরোন পিন্টু। মলিনকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেই ফিরেও আসেন তিনি। তখনই দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। সেই সময় মরিয়া হয়ে স্বামীকে বাটাম দিয়ে আঘাত করে সুমনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিন্টুর৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাবা-ভাইয়ের জয়ের মার্জিন বাড়াতে কাঁথি ও তমলুকে শেষ প্রচারে শুভেন্দু]

এরপর প্রমাণ লোপাট করতে প্লাস্টিকে দেহটি মুড়ে তিস্তা ক্যানালে ফেলে দেয় সুমনা এবং মলিন।নিজেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে তাদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা বলেন, “দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।” সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া জানান, “খুনের ঘটনায় সরাসরিভাবে এই দু’জন জড়িত রয়েছে। তবে আরও কেউ জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।” পুলিশ সূ্ত্রে খবর, অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিস্তা ক্যানালে সন্ধান করা হলেও এখনও দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ