Advertisement
Advertisement

Breaking News

পেট্রাপোল

পেট্রাপোলে ব্যবসা চালু করতে হবে রাজ্যকে, চিঠিতে কড়া হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের

লকডাউনের বিধি মানা হচ্ছে না এই অভিযোগেও কেন্দ্র চিঠি পাঠায় রাজ্যকে।

MHA writes to WB govt for not allowing cross land-border transportation
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 6, 2020 9:49 pm
  • Updated:May 7, 2020 9:10 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় চলছে লকডাউন। তবে তার মাঝেও পেট্রাপোল সীমান্তে অবিলম্বে আমদানি-রপ্তানি চালু করার দাবি জানিয়ে বাংলার সরকারকে চিঠি দিল কেন্দ্র। সীমান্ত বাণিজ্য শুরুর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। পেট্রাপোলে দ্রুত ব্যবসায়িক আদানপ্রদান শুরু করার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এপ্রিলের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে দেশের কয়েকটি জায়গায় সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তেও সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। কিন্তু বাণিজ্যের স্বার্থে বাংলাদেশি শ্রমিকরা এদেশে ঢুকছেন, তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। এই যুক্তি দেখিয়ে পেট্রাপোলের সাধারণ ব্যবসায়ীরাই তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ দেখান। গত শনিবার এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পেট্রাপোল সীমান্ত। তারপর থেকে বন্ধ ব্যবসা। রাজ্যের এই ভূমিকাতে বিরক্ত কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা তাঁর লেখা চিঠিতে মহামারি আইনের কথা উল্লেখ করে পেট্রাপোল সীমান্তে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে পদক্ষেপের দাবি জানান। এ বিষয়ে রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিজবুল জঙ্গি নিকেশের পরেই রণক্ষেত্র অবন্তীপোরা, নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি ভাঙল পাথরবাজরা]

এছাড়াও বুধবার বাংলার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ফের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কড়া চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণকে বিশ্লেষণ করেই চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়, কয়েকটি গোষ্ঠী সেখানে লকডাউন অমান্য করছে। এক্ষেত্রে হাওড়া ও কলকাতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, করোনা যোদ্ধা ও পুলিশকে আক্রমণের মুখেও পড়তে হচ্ছে। অনেকে মাস্ক না পড়েই ঘুরছেন। বাজারে উপচে পড়া ভিড়। নজরদারি ও আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণের অভাবও স্পষ্ট বলেও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। চিকিৎসক ও নার্সদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ