Advertisement
Advertisement

Breaking News

শুভ্রাংশু

বাবার পথেই ছেলে! ভোটের মাঝেই বিজেপিতে যেতে পারেন শুভ্রাংশু রায়

শুভ্রাংশুর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নয়া জল্পনা।

Mukul Roy's son Subhranshu Roy likely to join BJP
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 20, 2019 6:37 pm
  • Updated:April 20, 2019 7:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অপমান হতে হতে দেওয়ালে ঠেকেছে পিঠ, অগ্নিপরীক্ষা দিতে দিতে হৃদয়টা পুরো ঝলসে গেছে’। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের লেখা এই দুটি লাইন রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনা উসকে দিল। তবে, কি এবার বাবার পথে ধরে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন শুভ্রাংশ রায়? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘বাংলার পক্ষে ভোট দিন’, নতুন ভোটারদের জন্য নয়া ভিডিও তৃণমূলের]

কদিন আগেই অর্জুন সিং যখন বিজেপিতে যোগ দিলেন, তখন নিজে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে অর্জুনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন শুভ্রাংশ। দাবি করেছিলেন, তাঁর কেন্দ্র বীজপুর থেকে বহু ভোটে লিড পাবেন তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী। সেসব এখন অতীত। শুভ্রাংশুর সদ্য করা এই ফেসবুক পোস্ট নতুন জল্পনার সৃষ্টি করেছে। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলে লাগাতার অপমানিত হতে হচ্ছে মুকুল পুত্রকে। এমনকী তাঁকে দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও ডাকা হচ্ছে না। আর অপমানের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েই তিনি দল ছেড়ে বাবার দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Advertisement

Subhrangshu

Advertisement

[আরও পড়ুন: দমদমে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলায় জখম জেলা সম্পাদক, কাঠগড়ায় তৃণমূল]

বাবা মুকুল রায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু ছেলে শুভ্রাংশু রায় রয়ে গিয়েছেন তৃণমূলেই। মুকুল রায় দলছাড়ার পর তৃণমূলে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন শুভ্রাংশু। বাপ কা বেটা শুভ্রাংশুর বিজেপিতে যোগ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল। শোনা যাচ্ছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য নাকি শুভ্রাংশ গেরুয়া শিবিরকে দুটি শর্ত দিয়েছেন। প্রথমত, ২ বছরের মধ্যে বীজপুরে রেলের কোচ কারখানা চালু করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, কারখানা চালু হলে ৩০ শতাংশ কর্মসংস্থান করতে হবে বীজপুর থেকেই। এই শর্ত মানলে ভোট চলাকালীনই নাকি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন শুভ্রাংশু। এর মধ্যেই ফেসবুকে মুকুলপুত্রের এই বিস্ফোরক পোস্ট। যা দেখে গেরুয়া শিবির বলছে, বড় চমক অপেক্ষা করছে।আর তা যদি হয়, তাহলে শিল্পাঞ্চলে রাজ্যের শাসকদল যে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে সেকথা বলাই বাহুল্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ