Advertisement
Advertisement

Breaking News

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ১৯ শতাংশ আসনে কোনও স্তরের ভোট নেই

বীরভূম জেলায় সবথেকে বেশি আসনে কোনও স্তরে ভোট হচ্ছে না।

No election on 19% West Bengal panchayat seats : SEC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 3, 2018 10:22 am
  • Updated:August 22, 2018 1:20 am

শুভঙ্কর বসু: ১৪ মে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনও সংশয় কাটেনি। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে এবার ১৮.৮৪ শতাংশ আসনে কোনও ভোটই হচ্ছে না। অর্থাৎ রাজ্যের মোট ৫৮ হাজার ৪৬৭টি বুথের মধ্যে ১১,০১৬টি বুথে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েত কোনওস্তরেই নির্বাচন হচ্ছে না। এই তথ্য সামনে আসতেই নতুন করে নিরাপত্তার আয়োজন সাজিয়ে ফেলতে চাইছে নবান্ন। আজ বৃহস্পতিবার নবান্নে এই নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব মলয় দে। সেখানেই ভোটের সুরক্ষা ব্যবস্থা চূড়ান্ত হবে।

[‘ভোট যেদিনই হোক, তৃণমূল প্রস্তুত!’ আত্মবিশ্বাসী পার্থ]

নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবার বীরভূম জেলায় সবথেকে বেশি আসনে কোনও স্তরে ভোট হচ্ছে না। এই জেলায় মোট আসন ২৭৯৮টি। যার মধ্যে ৮৩.০৬ শতাংশ আসনে ভোট হবে না। ২৭৯৮টির মধ্যে ভোট হবে মাত্র ৪৭৪টি আসনে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া। এই জেলায় ৫৭.৬৩ শতাংশ আসনে কোনও স্তরে ভোট হবে না। জেলায় মোট ৩০১৪টি আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে না ১৭৩৭টি আসনে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে একদা কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদ। এই জেলায় কংগ্রেস যে বিপর্যস্ত তা পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। মুর্শিদাবাদে এবার ৫৫.৩০ শতাংশ আসনে ভোট হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদে ৫০১৭টি আসনের মধ্যে ভোট হবে মাত্র ২২৮৩টি আসনে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও বাঁকুড়া ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানেও একাধিক আসনে ভোট হচ্ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগানায় ১৫৪৪, হুগলিতে ৬৫০ ও পূর্ব বর্ধমানে ১০১৫টি আসনে এবার কোনও ভোটই হচ্ছে না।

Advertisement

তবে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহের মতো উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সব আসনেই ভোট হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়ায় সবক’টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এই তথ্য হাতে আসার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘ফুলপ্রুফ’ করতে চাইছে কমিশন ও রাজ্য সরকার। আজ নবান্নে বৈঠকে ভোটে নিরাপত্তার চূড়ান্ত করে একটি খসড়া রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হবে। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর কমিশনের প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে নিরাপত্তার আয়োজন নিয়ে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয় বলে একরকম নিশ্চিত প্রশাসনিক কর্তারা। কারণ রাজ্যের হাতে রয়েছে ৪৬ হাজার সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের প্রায় ১২ হাজার বাহিনীকে ভোটের কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও বাহিনী নিয়ে পড়শি রাজ্যগুলিকে রাজ্যের পাঠানো চিঠির ইতিবাচক উত্তর মিলেছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে আর কোনও অসুবিধা হওয়ার কথাই নয়। ৪ মে আদালতেও সেকথা জানানো হবে।

Advertisement

[হিংসাকে আটকাতে হিংসারই দরকার, ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ