Advertisement
Advertisement
বোলপুর

উন্নয়নের পরও লোকসভা ভোটে প্রচার নেই এই গ্রামে, কারণটা জানেন?

নেই কোনও দেওয়াল লিখন, ফ্ল্যাগ বা ফেস্টুন।

No Trinamool Congress campaign in this village in West Bengal
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 23, 2019 7:40 pm
  • Updated:April 23, 2019 7:40 pm

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ভোটের অন্যতম হাতিয়ার উন্নয়ন। যে কোনও রাজনৈতিক দলই ভোটপ্রচারের সময় একথা মাথায় রেখে প্রচারে নামে। ব্যতিক্রম নয় তৃণমূল কংগ্রেসও। কিন্তু যেই গ্রামে সত্যিই উন্নয়ন হয়েছে, সেই গ্রামেই লোকসভা ভোটে নেই কোনও প্রচার। গ্রামের নাম বনেরপুকুরডাঙা। যে গ্রাম থেকে ২ টাকা কেজি দরে চাল প্রকল্পের কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। সেই বনেরপুকুরডাঙা এবার প্রচারের বাইরে। নেই কোনও দেওয়াল লিখন, ফ্ল্যাগ বা ফেস্টুন। গ্রামের ভিতরে ঢুকলে বোঝায় যাবে না আর কয়েকদিন পরেই লোকসভা ভোট হতে চলেছে এখানে।

বোলপুর এবং তার আশেপাশে একাধিক আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে রূপপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে বনেরপুকুরডাঙা, বালিপাড়া, বল্লভপুরডাঙা, ফুলডাঙা, পিয়ারসন পল্লি, কালীগঞ্জ, বাগানপাড়া। সূত্রের খবর, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রামে গত বিধানসভা নির্বাচলে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গিয়েছে। তাই এবার আর হেরে যাওয়া বা কম মার্জিনে জিতে যাওয়া গ্রামগুলিতে নতুন উদ্যমে প্রচার করছে না তৃণমূল কংগ্রেস।অভিযোগ এমনই।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া, ঝাড়গ্রাম জয়ে অভিনব কৌশল গেরুয়া শিবিরের ]

Advertisement

শুধু ২ টাকা কেজি দরে চালের কথা ঘোষণাই নয়, বাসিন্দাদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে উন্নয়ন হয়েছে অনেক। বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে তিনি যখন বনেরপুকুরডাঙা আদিবাসী গ্রামে যান, বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভাব অভিযোগ শোনার পরই ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামে পাকা রাস্তার পাশাপাশি, সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে এই গ্রামে পানীয় জলের জন্য পাইপ লাইনের ব্যবস্থা করে হয়ে। এত কিছু উন্নয়নের পরেও শাসকদল পিছিয়ে পড়ছে এই গ্রামে।

এদিন বনেরপুকুরডাঙা গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, গ্রামের রাস্তাতে বসে আছে একদল যুবক। গ্রামে ভোটের কোনও প্রচার নেই এই কথা জিজ্ঞাসা করতেই সোম মুর্মু বলেন, “কেউ আসেনি। কোনও দেওয়াল লিখন হয়নি। কেন হয়নি তা বলতে পারব না।” নিতাই মাড্ডি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে আসার পর উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু জমি জায়গার দখল নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে গ্রামে। তাই আমরা সব কিছু থেকে সরে এসেছি।” রূপপুরের উপপ্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “আদিবাসী গ্রামে কিছু ঐতিহ্য থাকে। আমরা ওখানে কোনও দেওয়াল লিখন করি না।”

[ আরও পড়ুন: কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভগবানগোলা, মৃত ১ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ