ছবি: প্রতীকী
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের ৭ বছরের শিশুকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। রাতদিন বিরক্ত করত শিশুটি, স্রেফ এই কারণেই তাকে খুন করেছে একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া এক কিশোর। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। ওইদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে খেলছিল রায়হান মহলদার নামে ওই শিশুটি। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। টানা দু’ঘণ্টা হদিশ না মেলায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পাওয়া যায়নি কোথাও। এরপর দুপুর দুটো নাগাদ ফোনে মুক্তিপণ বাবদ শিশুর বাবার কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু শিশুটির বাবা, পেশায় দিনমজুর সিরাজ মহলদারের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। ফোনে সেকথা জানিয়ে ছিলেন তিনি। এরপরই এলাকার একটি আমবাগানের পাশে মেলে শিশুটির মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে, মৃতের বাবার শত্রুরাই একাণ্ড ঘটিয়েছে। কারণ, লটারির টাকার বাটোয়ারা নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে অশান্তি চলছিল খুদের বাবার।
কিন্তু তদন্তে উঠে এল অন্য তথ্য। পুলিশ জানিয়েছেন, মৃত রায়হান মহলদার মাঝে মধ্যেই মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক কিশোরের বাড়ি যেত। সেখানে গেম খেলত। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরকে নানা ভাবে বিরক্ত করত রায়হান। সেই কারণেই খুদেকে খুনের ছক কষে অভিযুক্ত কিশোর। জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ কাররা জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি জুতোর ভিত্তিতে অভিযুক্তের হদিশ পান তাঁরা। যে মোবাইলটি থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, সেটিও মিলেছে। চাপের মুখে অভিযুক্ত কিশোর দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তবে আদৌ কী এই সামান্য কারণেই এই নৃশংসতা? নাকি এর পিছনে লুকিয়ে গভীর রহস্য? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.