বাবুল হক, মালদহ: অফিম। মাদকগুণে সর্বত্র এই ফলের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদাই জন্ম দিয়েছে অবৈধ কারবারের। যা ফুলে ফেঁপে উঠেছে জেলায় জেলায়। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায়। পরিত্যক্ত কুয়োতে মজুত করে রাখা এমনই অবৈধ আফিমের খোসার বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ হারালেন তিন জন। আহত আরও দুই।
[স্নান করতে গিয়ে দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে গেল ডাক্তারি পড়ুয়া]
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকারই একটি বাড়ির কুয়োতে মজুত করে রাখা ছিল আফিমের খোসা। কিছুদিন আগে বৃষ্টির জল ঢুকে যায় সেই কুয়োয়। জমা জলে আফিমের খোসায় পচন ধরে। তা সম্পূর্ণ বিষাক্ত হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেই কুয়োতে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই বিক্রির জন্য অফিমের খোসা সংগ্রহ করতে কুয়োর ভিতরে নামেন রবি মোমিন (১৮), কওসর মোমিন (৩০), আনারুল সেখ (৩৫), বাসেদ এবং মুকলেসুর মোমিন। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রবি, কওসর ও আনারুলের। বাসেদ ও মুকলেসুরকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দু’জনের চিকিৎসা চলছে।
[‘হেমা মালিনী রোজ মদ্যপান করেন, তিনি তো আত্মহত্যা করেননি’]
গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর কোথায় কোথায় এভাবে বেআইনিভাবে আফিমের খোসা মজুত করে রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাচীণ কালে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হত আফিম। ব্যাথা উপশমে কাজে লাগত এর মাদকগুণ। কিন্তু সেই গুণই কাল হল এই বিশেষ ফলের। ধীরে ধীরে আফিম নেশার বস্তুতে পরিণত হল। শুরু হল এর অপপ্রয়োগও। জানা গিয়েছে, কোনো রোগীকে ৪ ঘণ্টা পর পর আফিম দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সে এর ওপর শারীরিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর এই নির্ভরশীলতা ছাড়তে পারাটা সহজ কাজ নয়। দেখা দেয় অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও। এক্ষেত্রে আফিমের খোসায় পচন ধরায় তা আরও বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল বলেই মনে করছে পুলিশ।
[বৃহত্তম নন-নিউক্লিয়ার মার্কিন বোমায় নিকেশ অন্তত ৩৬ আইএস জঙ্গি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.