Advertisement
Advertisement
পোলবা দুর্ঘটনা

গা ঢাকা দিয়েও এড়ানো গেল না গ্রেপ্তারি, পুলিশের জালে পোলবার পুলকার চালক

মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে শেখ শামিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Polba pool car accident: driver Sheikh Shamim arrested
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 21, 2020 8:50 am
  • Updated:February 21, 2020 8:51 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোলবার পুলকার দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে সপ্তাহখানেক। এই ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত শেখ শামিম। দুর্ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। তবে হুগলি জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে শামিমকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দুর্ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল তার কিনারা হতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার দিন শামিমই প্রথমে স্কুল পড়ুয়াদের গাড়িতে তোলে। এরপর বৈদ্যবাটিতে গিয়ে বদলায় চালক। কিন্তু কেন দফায় দফায় এমন বদল করা হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এছাড়াও ওই পুলকারের ফিটনেস সার্টিফিকেট, স্পিড গভর্নরও ছিল না। কেন স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই পড়ুয়াদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হল, উঠছে সেই প্রশ্নও। এর আগে পবিত্র দাসে নামে আরেক চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে শেখ শামিম। তাকে জেরা করেই উত্তর মিলতে পারে বলেই আশা পুলিশের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরীক্ষাকেন্দ্রেই অসুস্থ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী? মুশকিল আসানে তৈরি ‘স্টুডেন্ট মিনি হাসপাতাল’]

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলকার চড়ে দিল্লি রোড দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল অন্তত পনেরোজন পড়ুয়া। ওই পুলকারেই ছিলেন এক অভিভাবকও। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পোস্টে ধাক্কা মারে পুলকারটি। নয়ানজুলিতে পড়ে যায় গাড়িটি। তাতেই গুরুতর জখম হয় পুলকারে থাকা খুদেরা। স্থানীয়দের তৎপরতায় কচিকাঁচাদের উদ্ধার করে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে দিব্যাংশু এবং ঋষভ নামে দুই পড়ুয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রিন করিডর করে চুঁচুড়া থেকে কলকাতার এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয় দু’জনকে। সেখানেই আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দুই রোগী।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিব্যাংশুর অবস্থার আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার তার ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত বেশ কয়েকদিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে ছোট্ট ঋষভের অবস্থা মোটেও ভাল নয়। নতুন করে কিডনি এবং ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে তার। কমছে প্লেটলেট। ক্রমাগতই দিতে হচ্ছে রক্ত। ঋষভের শারীরিক অবস্থা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও। এদিকে, দুর্ঘটনার দিন থেকে এসএসকেএমের সামনেই ভিড় জমিয়েছেন ঋষভ এবং দিব্যাংশুর পরিজনেরা। সন্তানদের দুশ্চিন্তায় খাওয়া, ঘুমও প্রায় ভুলতে বসেছেন তাঁরা। শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে দিব্যাংশুর পরিবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। তবে ঋষভের পরিজনেরা এখনও উদ্বেগে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ