Advertisement
Advertisement
রেল

RPF জওয়ানের চিকিৎসার জেরে হাসপাতালের সামনে ব্যারিকেড, পুলিশের ভূমিকায় বিরক্ত রেল

শেষ পর্যন্ত রেলের দাবিতে ব্যারিকেড সরাল পুলিশ।

Police makes barricade in front of Kharagpur main hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 1, 2020 7:42 pm
  • Updated:May 1, 2020 7:42 pm

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: করোনা আক্রান্ত এক আরপিএফ জওয়ানের চিকিৎসা ও হাসপাতাল লাগোয়া রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়াল রেল ও রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে করোনা আক্রান্ত আরপিএফ জওয়ানকে খড়গপুর রেলওয়ে মেইন হাসপাতালে ভরতি করা হয়। খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ হাসপাতাল লাগোয়া দু’টি রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে রেলের পক্ষ থেকে বলা হয় রাস্তার ব্যারিকেড তুলে নিতে হবে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে রেলের এই প্রস্তাবে আপত্তি জানানো হয়। বলা হয়, শহরের মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেলের দাবিতে সিদ্ধান্ত বদল করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। সরিয়ে ফেলা হয় ব্যারিকেড। তবে হাসপাতালের চারদিক ঘিরে রাখা হয়েছে।

খড়গপুরের মহকুমা শাসক বৈভব চৌধুরি বলেন, “রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম হাসপাতাল লাগোয়া রাস্তায় ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ মেনে রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালের চারদিকে ঘিরে রাখা হয়েছে।” যদিও এরকম কোনও কিছু জানা নেই বলে দাবি রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম তথা জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরির। এমনকি রেল হাসপাতাল লাগোয়া রাস্তায় ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না সেটাও তাঁর জানা নেই বলে দাবি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরব ভাবিনি’, রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদজ্ঞাপন কোটায় আটকে পড়া পড়ুয়াদের]

এদিকে, করোনা আক্রান্ত আরপিএফ জওয়ানের চিকিৎসককে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও রেল প্রশাসনের বিরোধও তুঙ্গে। খড়গপুর রেলওয়ে মেইন হাসপাতালের সিএমএস ডাঃ এস এ নাজমি বলেন,”এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই।” রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম তথা জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরির দাবি, “আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মডিউল অনুসরণ করছি। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও কোভিড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত আরপিএফ জওয়ানকে ভরতি করানোর চেষ্টা করছি। আমরা রাজ্য সরকারের জন্য অপেক্ষা করছি।” তবে এই ব্যাপারে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। অপরদিকে, জেলা রেড জোনে চলে যাওয়ার পর পুলিশ জেলা ও খড়গপুর শহরের প্রবেশ পথে বেড়েছে পুলিশি তৎপরতা। ঝাড়গ্ৰাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার খেমাশুলিতে স্যনিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর খড়গপুর শহরের প্রবেশ পথ চৌরঙ্গিতে এই একই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দশ ঘণ্টা ঠায় বসে গাছ তলায়, ২০ কিমি হাঁটার পর অমানবিকতার শিকার প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ