Advertisement
Advertisement

Breaking News

জেলায় জেলায় সাবেকিয়ানার দালানে তুঙ্গে মায়ের আবাহনের প্রস্তুতি

শতবর্ষ পেরনো ঐতিহ্যের এ কাহিনি জানা আছে?

Read about ceuturies old ‘Antpur Dura Puja’
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 13, 2017 3:07 pm
  • Updated:September 29, 2019 12:17 pm

বনেদিয়ানা বিভিন্ন জেলার বনেদি পুজোর গল্প শোনাচ্ছেন ইন্দ্রজিৎ দাস আজ রইলো দ্বিতীয় কিস্তি

আঁটপুর মিত্র বাড়ির দুর্গাপুজো:

Advertisement

আঁটপুর হুগলি জেলার একটি ছোট গ্রাম। মিত্র পরিবারের আদি পুরুষ কন্দর্প মিত্র কোন্নগর থেকে এই আঁটপুরে এসে বসবাস শুরু করেন। তিনিই শুরু করেন মিত্র বাড়ির দুর্গাপুজো ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে। এই দুর্গাপুজো আরও জাঁকজমক করে হতে থাকে কন্দর্প মিত্রর নাতি কৃষ্ণরাম মিত্রর আমলে। কৃষ্ণরাম মিত্র ছিলেন বর্ধমান মহারাজার দেওয়ান। টেরাকোটার বিশাল বড় আটচালা রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দির, রাসমঞ্চ, দোলমঞ্চ, পাঁচটা শিব মন্দির ও সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি চণ্ডীমণ্ডপ আজও মিত্র বংশের শিল্পকীর্তি বহন করে চলেছে। এই চণ্ডীমণ্ডপেই হয় মিত্র বাড়ির দুর্গাপুজো। চণ্ডীমণ্ডপের সারা দেওয়াল জুড়ে আঁকা রয়েছে নানা দেব-দেবীর ছবি। চণ্ডীমণ্ডপের মাথায় খড়ের চাল। চালটি উলটানো নৌকার মতো।

Advertisement

Antpur-mitra-bari-3

একচালের শোলার সাজের প্রতিমা, মহিষাসুর মহিষের শরীরের অর্ধাংশ থেকে প্রকাশ। জন্মাষ্টমীর দিন পুরনো কাঠামোর ওপর মাটি লাগিয়ে শুরু হয় মূর্তি গড়ার কাজ। শুক্ল প্রতিপদ তিথিতে বোধনের মাধ্যমে পুজোর শুরু। সেদিন থেকে নবমী পর্যন্ত চলে চণ্ডীপাঠ। একসময় পশুবলি হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। মাকে লুচি, নারকেলের তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি ও নানা রকমের ফল নিবেদন করা হয়। নবমীর দিন হয় কুমারী পুজো। দশমীর দিন সূর্যাস্তের আগে কাঁধে করেই প্রতিমা বিসর্জনে নিয়ে যাওয়ার রীতি অটুট এই পরিবারে।

Antpur-mitra-bari

কীভাবে যাবেন –

কলকাতা থেকে হাওড়া, ডোমজুড়, জঙ্গিপাড়া হয়ে গাড়িতে। অথবা হাওড়া তারকেশ্বর লোকাল ট্রেনে হরিপালে নেমে সেখান থেকে বাসে।

[৪৮৭ বছরেও জৌলুস এতটুকু কমেনি খড়দহের মেজোবাটির পুজোয়]

আঁটপুর ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজো:

হুগলি জেলার আঁটপুরে ঘোষ পরিবারের বসবাস প্রায় তিনশো বছরেরও বেশি। এই পরিবারে অনেক কৃতী পুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন। রামকৃষ্ণদেবের শিষ্য এবং স্বামী বিবেকানন্দের গুরুভ্রাতা স্বামী প্রেমানন্দ অর্থাৎ বাবুরাম ঘোষ মহাশয় এই বংশেরই সন্তান। বিখ্যাত সুরকার নচিকেতা ঘোষও এই বংশের। ২৫০ বছরেরও প্রাচীন এই বাড়ির দুর্গাপুজো। পরে ঘোষ পরিবারের দুই বাড়িতে ভাগ হয়ে যায়। এক বাড়ির পুজো আজ আঁটপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অধীন।

Antpur-ghoshbari-1

জন্মাষ্টমীর দিন ঘোষ বাড়ির ঠাকুরদালানে দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। একচালার প্রতিমা। গণেশ ও কার্তিকের অবস্থান লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মাথার উপর। সন্ধিপুজোর পর হয় ধুনো পোড়ানো। নবমীতে কুমারী পুজো। একসময় পাঁঠাবলি হলেও আজ তা বন্ধ। নবমীতে চালকুমড়ো, আখ, কলা, লেবু বলি দেওয়া হয়। মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয় না। লুচি, ফল, মিষ্টি, নাড়ু ও রাতে শীতলভোগ অর্থাৎ লুচি, সুজি ভোগ। প্রতিপদের বোধনে শুরু হওয়া দুর্গাপুজোর সমাপ্তি ঘটে দশমী বিকেলে তড়ার মোড়ে হাটপুকুরে বিসর্জনে। একসময় মা সারদা দেবী এসেছিলেন ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজোয়।

কীভাবে যাবেন-

কলকাতা থেকে হাওড়া, ডোমজুড়, জঙ্গিপাড়া হয়ে গাড়িতে। অথবা হাওড়া তারকেশ্বর লোকাল ট্রেনে হরিপালে নেমে সেখান থেকে বাসে।

[জেলায় জেলায় বনেদিয়ানায় সেজে উঠছেন উমা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ