Advertisement
Advertisement

Breaking News

বুলবুল

বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ত্রাণ মিলছে না, অভিযোগ বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত তৃণমূল সমর্থকদের

অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান।

Relife has not been distributed properly, said villagers of Canning

ফাইল ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 23, 2019 1:00 pm
  • Updated:November 23, 2019 1:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুলবুলের দাপটে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার হিঞ্জলগঞ্জ, নামখানা, ক্যানিং -সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলবর্তী অন্যান্য এলাকাগুলিতেও। ত্রাণও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছেন না সকলে। এমনই অভিযোগ তুলছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হাটখোলার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। অভিযোগ, বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই এই পরিণতি।

বুলবুলের দাপট কমতেই আকাশপথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলেন। নির্দেশ দিয়েছিলেন ত্রাণ বিলি নিয়ে যেন কোনও রকম রাজনীতি না করা হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই ত্রাণ বিলিতেও রাজনীতির রং লেগেছে এমনটাই অভিযোগ করছেন ক্যানিংয়ের হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল সমর্থকদের একাংশের। তাঁদের কথায়, এক এলাকায় বাড়ি হওয়ায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও রয়েছে। আর সেই কারণেই ত্রাণ পাচ্ছেন তাঁরা। ফলে বুলবুলের দাপট কাটলেও ভয়ংকর পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাঁদের।

Advertisement

যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি ইটখোলার অঞ্চল প্রধানের। তিনি সাফ জানান, রাজনৈতিক রং না দেখে প্রত্যেককে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। সাধ্য মতো সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা ত্রাণ বিলি নিয়ে অভিযোগ করেছেন তারা পরিকল্পনামাফিক, পালটা অভিযোগ অঞ্চল প্রধানের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ডিভিসির প্রস্তাবিত জমির দরে তীব্র আপত্তি চাষিদের, স্থির হল না পুনর্বাসন প্যাকেজ]

চলতি মাসের ৯ তারিখ আছড়ে পড়েছিল বুলবুল। ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবনের বহু গ্রাম। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। একের পর এক ভেঙে পড়েছিল কাঁচাবাড়ি, গাছ। ঝড়ের রোষে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের। নষ্ট হয়েছে প্রচুর ফসল। ভেসে গিয়েছে জমি। ফলে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। কতদিনে গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এখন সেই অপেক্ষাতেই স্থানীয়রা। 

[আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর পর স্ক্রাব টাইফাস আতঙ্ক, কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ