নন্দন দত্ত, বীরভূম: দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে এক রাতে সিউড়ির সাজানো পল্লি একেবারে তছনছ। পরপর তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল।
[‘পথের কাঁটা’ সরাতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, গ্রেপ্তার স্বামী-সহ ৩]
স্থানীয় সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চড়াও হয় পাঁচজনের একটি ডাকাত দল। প্রথম তারা একটি নির্মীয়মান বাড়িতে ঢোকে। সেই সময় ওই বাড়িতে ছিলেন কালো মণ্ডল নামে এক মিস্ত্রি। তাঁকে বেঁধে রেখে চলে লুঠপাট। এরপর দুষ্কৃতীদের দলটি স্থানীয় বাসিন্দা লীলা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয়। রাত দুটো নাগাদ তারা ঢোকে। প্রথমে তারা নিচের তলার দরজা ভাঙে। লীলাদেবীর বাড়িতেও কাজ চলছিল। সেখানে ছিলেন দুই মিস্ত্রি শেখ সাবিরুল ও শেখ সাবিরুদ্দিন। এদেরকেও একই কায়দায় বেঁধে রেখে দুষ্কৃতীরা। এরপর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের টাকা লুঠ করা হয়। ওই বাড়িতে থাকেন লক্ষ্মী চট্টোপাধ্যায়। দুটি জায়গায় অপারেশন চালিয়ে লক্ষ্মীদেবীর বাড়িতে ঢোকে ডাকাত দলটি।
[অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে মমতার দ্বারস্থ রিষড়ার আক্রান্ত ছাত্রী]
সম্প্রতি লক্ষ্মীদেবীর ছেলের সঙ্গে সিউড়ির বাসিন্দা গুরুদাস মুখাপাধ্যায়ের মেয়ে বিয়ে চূড়ান্ত হয়। বাড়িতে একা ছিলেন ওই বিধবা ভদ্রমহিলা। ডাকাত পড়তেই তিনি গুরুদাসবাবুকে ফোন করেন। তিনি পেশায় শিক্ষক। ভোররাতে ছেলে অর্ককে নিয়ে মোটরবাইকে সাজানো পল্লিতে যান গুরুদাসবাবু। তাদের দেখে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। অভিযোগ দুজনকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। অর্কর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। ওই যুবকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিউড়ি থেকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে গুরুদাস মুখোপাধ্যায়ের মাথায় আঘাত লেগেছে। সিউড়ি জেলা সদর হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়েছে। এই মারধর চলাকালীন সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তবে বিপদ বুঝে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। সিউড়িতে পরপর ডাকাতির ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। এই ঘটনায় মিস্ত্রিদের যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.