দেবাদৃতা মণ্ডল: লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংকল্প যাত্রা ঘিরে রাজনৈতিক তরজায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির শ্রীরামপুর এলাকা। যদিও অশান্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আধঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায়, সংকল্প যাত্রা এগিয়ে নিয়ে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে অক্টোবর মাসব্যাপী দেশজুড়ে সংকল্প যাত্রা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে এই সংকল্প যাত্রা। লক্ষ্য একটাই, গান্ধীজিকে কংগ্রেস যেভাবে নিজেদের নেতা বলে প্রচার করে চলে, তা ভেঙে জাতির পিতাকে দেশের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। স্থানীয় সাংসদদের উপর এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার পড়েছে।
সেই সংকল্প যাত্রা কর্মসূচি পালনেই রবিবার, সকাল ১১টা নাগাদ শ্রীরামপুরের জিটি রোড সংলগ্ন বটতলা থেকে মিছিল শুরু করেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেসময় ওই একই এলাকায় কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার এবং তাঁর উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে, তার প্রতিবাদে অবরোধ চলছিল দলের যুব নেতৃত্বের তরফে। অভিযোগ, সাংসদকে দেখেও তাঁরা রাস্তা ছেড়ে দেননি। এদিকে, সাংসদ লকেটও রাজনৈতিক সৌজন্যবশত কংগ্রেস কর্মীদের অবরোধ তুলে তাঁদের সংকল্প যাত্রার পথ করে দেওয়ার জন্য কোনও আবেদন বা দাবি করেননি।
কিন্তু সংকল্প যাত্রা কিছুক্ষণ ধরে বটতলার কাছে থমকে যাওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা এগিয়ে গিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের অবরোধ তুলে নিতে বলেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে দু পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, তারপর হাতাহাতি শুরু হয়। চলে ধস্তাধস্তিও। এভাবেই প্রায় ১০,১৫মিনিট কেটে যায়। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।
জেলার যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিতাভ দে সংবাদ প্রতিদিন ডট ইনকে জানিয়েছেন, ‘ সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে আমরা রাজ্যজুড়ে একঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কারও কোনও যাত্রা আটকানোর জন্য কিছু করা হয়নি।’ নির্ধারিত সময়ের পর কংগ্রেস অবরোধ তুলে নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এবং বিজেপির সংকল্প যাত্রা এগিয়ে যায় কোন্নগরের দিকে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.