অরূপ বসাক, মালবাজার: অনুমতি ছিল না। তবুও গণনা কেন্দ্রে ঢুকে শুরু করেছিল তাণ্ডব। কিন্তু, পুলিশ আসতেই শান্ত পরিস্থিতি। নিজের দোষ আড়াল করতে পুলিশের পা জড়িয়ে ধরে চলল দেদার আবদার। শাস্তি তো দূর, আবদার শুনে রীতিমতো জল-বিস্কুট খাইয়ে, সেলফি তুলে মানে মানে গণনা কেন্দ্রের বাইরে পাঠিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল পুলিশ । কিন্তু, বৃহস্পতিবার কোনক্রমে তাকে শান্ত করা গেলেও বিপত্তি বাধল আজ। হঠাৎ উদয় হওয়া হনুমানকে নিয়েই এখনই হুলস্থুল কাণ্ড মালবাজারে।
[দিঘার হোটেলে আত্মঘাতী তরুণ-তরুণী, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]
বৃহস্পতিবার, মালবাজার সুভাষিণী গ্লাস স্কুলের ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছিল একটি পূর্ণবয়স্ক হনুমান। আর আজ মালবাজার কলেজের সামনে সোনগাছি চা বাগান লাগোয়া রাস্তা দখল নিয়ে রীতিমতো ধরনা দিয়ে বসেই রয়েছে হনুমানটি। পথ চলতি মানুষ ভিড় করছে হনুমানটিকে দেখার জন্য। কেউ কেউ ভুট্টা, কলাও দিচ্ছে তাকে। তবে, হনুমানের সঙ্গে সেলফি হিড়িকে কার্যত থমকে ওই এলাকার যান চলাচল। তবে, হনুমানটি কাউকে আক্রমণ না করায় কিছুটা রক্ষা পেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এহেন কাণ্ডকারখানা চলতে থাকলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পরিবেশ কর্মীরা। কেন বনকর্মীদের খবর দিয়ে হনুমানটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না, প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশ কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় বেপরোয়াভাবে গাছ কাটার জেরে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে এসেছে হনুমানটি৷ জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে লোকালয়ে হনুমানটি তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ বাসিন্দাদের অন্য একটি মত বলছে, হনুমানটি দলছুট হওয়ার কারণে মালবাজারে ঢুকে পড়েছে৷